বইমাত্রিক রাহুল গাঙ্গুলি

অধুনান্তিকতা পরবর্তী কবিতা ~ নয়া অ্যাস্থেটিক্স খোঁজে

কে বলে বাংলা কবিতা নেই অথবা মরে গেছে।সৌমদীপের কবিতা – কাকে ছেড়ে কাকে রাখবো।ভূমিকা থেকেই এক অন্য কবিতার জগত।কবি চিরকালই নিঃসঙ্গ ও এটাই হয়তো তার বহুগামিতার মূল সূত্র।অতএব কবি যে তা নিয়ে লিখবে না – হতে পারে না।এখানেই কবিকে কুর্নিশ।যেভাবে লিখেছে এক লহমায় এর ব্যাপ্তি পাওয়া অসম্ভব।সময় দিতেই হবে।মাথা হ্যাং হলেও হতে পারে।যদিও এখানেই কবির সার্থকতা।
মুলতঃ দুটি ফেজ্ খুজে পাই কাব্যগ্রন্থে।প্রথমত ১-ভাগ তার ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার নিঃস্বতা ঘিরে।পরবর্তী অংশে তা সমাজকে নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি।এখানেই কবির ব্যপকতম দৃষ্টির ভাগ।
৩-ভাগ আছে : যতদূর চিনি – কবি দেখাকেও সাহিত্যে সরাসরি এনেছেন।কিছু সামান্য কাজ আছে ভ্যিসুয়াল কবিতার।নগন্য। হতে পারে সময় কিভাবে নেবে – তার ভয়।কবি নিজেকে খোলাখুলি প্রকাশ করেন নি উক্ত বিষয়ে।যদিও পরীক্ষা কম কিছু নেই।
তবে এটি ছাড়াও আরেকটি অভিযোগ আছে।কবি এমন কিছু কথা ব্যবহার করেছেন যা শুধুমাত্র সাহিত্য অভিধানে আছে,আমাদের কথ্য ভাষায় নেই।এ-সব যদিও সরিয়ে রাখা যায়,যদি আমরা কবির দার্শনিকতা দেখি।
ভাবতে ভাল লাগে – এই সামান্য (লেখার চেস্টা করা) ব্যক্তিকে কবি দাদা ডেকে সম্মানিত করেন।
বন্ধুরা বান্ধবীকে পারফিউম উপহার না দিয়ে এই বইটি উপহার দিন।অন্য স্তরে কথা বলবেন আপনি।
ভালো থাকবেন।ভালো থাকিস সৌম্য।
(বইটা হঠাৎ করে আবার হাতে চলে এলো।মনে পড়ে গ্যালো ~ পুরনো কিছু কথা)
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।