তখন সন্ধ্যা রাতের বুকে ডুবছে, নাকি রাত এসে আদর করে জরিয়ে ধরছে সন্ধ্যাকে! তারপর সবটাই রাত …. অনেকটা গভীর ….. সে গভীরতা শুধু নির্বাক হয়ে দেখা যায় ।
– আচ্ছা নারীকে জরিয়ে ধরা যায়?
– হঠাৎ এই প্রশ্ন!
– না মানে, যত দিন যাচ্ছে মনে হচ্ছে কথাটা , আসলে নারীই আলিঙ্গন করতে পারে শুধু, সেই জরিয়ে ধরাকে কি বলে জানো?
– কি বলে?
– সম্পূর্ণতা
হয়তো যন্ত্রণা আছে চারপাশে । দেহ কিংবা শরীর সবটাই তো নয়, সব থেকে সুন্দর হলো তোমার সৃষ্টিবীজ । একের মধ্যে বহুরূপ আঁকা যে তুলি ডুবে থাকে জলে ,তাকে দেখে ভাবি সৃষ্টির ক্লান্তি, তাইতো সবটুকু আরাম। মানবতা শুধুই কি বেঁচে থাকে যন্ত্রণার বিপরীতে? তা নয় জানো ….
– তাহলে?
– খোঁজ একটা পরম অস্তিত্ব, তোমাকে খুঁজে ফেরার মধ্যেই তুমি লুকিয়ে আছো।
একটা কালো রাত মুছতে মুছতে যে সকাল হবে, মঙ্গল শোভাযাত্রায় মিলিত হবে মানুষ, তোমার ধনেখালি তাঁতের শাড়ির গন্ধ- আর বিরাট খোঁপার গন্ধ এসে মিশে যাবে আমার বাংলা ক্যালেন্ডারে – একেই তুমি জীবন বলতে পারো।
ওই যে পাখিটা মাঠের শিশির নিয়ে উড়ে যাচ্ছে ।
একটা রাতপাখি এসে পাশে বসলো, যেন আমার গল্পের সাথী । এই ‘সম্পূর্ণতা’ শব্দটা নিয়ে এবার উড়ে চলে যাবে ওর কাছে, এখন তো রাত …. হবে হয়তো, জানলার কাছে দাঁড়িয়ে কখন যেন ওর বিরাট খোঁপা খুলে গেছে …..