• Uncategorized
  • 0

|| রাঙিয়ে দিয়ে যাও সংখ্যায় || সুদীপ্তা

রাই না হতেই ছাই

চমৎকার সে দুপুর ছিল,
যেন যমের দক্ষিণ দুয়ারের ডাক,
হিমপতনের স্তদ্ধতা ছিল মানবতার শ্বাসে,
সভ্যতার গাছ থেকে খসছে রাশ রাশ পাতা…
শিশুটা টের পায়েনি তার মিষ্টি গন্ধে অন্ধকার ঝাঁপিয়ে পড়বে
ডার্ক চকোলেটের সম্মোহনি আকর্ষণ ছিল কি তাতে?
একটু বাদেই খাবে বলে,
তাড়িয়ে তাড়িয়ে,
হরিণের মতো তাকেও কি সাজিয়ে যাচ্ছে কেউ?
তার গনগনে ঠোঁটে বহু জন্মের জমাট খিদে,
জিভ-দাঁত-চার ইঞ্চির অবর্ননীয় ঘষ্টানিতে জর্জরিত অপরিণত যোনি…
শিশুটা বাতাস হল,
রক্ত ঝরিয়ে সেই দুপুরে বাপ সোহাগী মেয়ে হল,
জ্যোৎস্নাদের মরে যাওয়ার অসুখ রোজ ওকে স্পর্শ করবে,
প্রতিদিন প্রতি পলে ও মরবে…
রূপকথারা ফুরিয়ে গেলে যন্ত্রনা হয়ে ঝড়ে বৃষ্টি,
বিষাক্ত অন্ধকারে রাজপেয়াদার নিষিক্ত কলমে লেখা হয় আর এক ট্রয়ের উপাখ্যান।
চার বছরের শরীর ঘিরে কিছু দুটো শকুন শলা করছিল,
উড়ন্ত বালি আর নিভন্ত ধ্রুবতারা সাক্ষী থাকে এই নৈশভোজের,
চাঁদ সোহাগী হতভাগীর একদিন মানুষ হওয়ার শখ ছিল…
রাষ্ট্রের হুকুম যখন সংবিধানের শ্লোক হয় তখন মানবতার মন্ত্র পাচার হয় কোনো এক অজ্ঞাত দেশে,
পুনর্বাসেনের নতুন আইনে যেখানে আয়না নিষিদ্ধ।।
এজলাসের গেরুয়া অন্ধকারে যে অসঙ্গতি আটকে ছিল তার ফ্যাকাশে মৌনতায় একদিন কার্টেন পড়ে যায়…
গভীরতম রাত্রির সমীকরণে অনায়াস প্রত্যুষের গ্রন্থনা কালবেলায় থাকে কি?
ছিন্ন আলোর তালিকা জুড়ে যে নারী গড়ে ওঠে তার কাছে শীতকালের হদিস থাকে না…
অস্তিত্ব পোড়া ছাই থেকে ফিনিক্স জন্ম নিয়ে সভ্যতার এপিটাফ লিখবে এক শিশুকন্যা…
বোবা শব্দরা মাথা কুটবে মায়ের মনে, “কেন তোকে রেখে দিলাম না আমার গর্ভে, চিরায়ত”…..
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।