কবির চাইতে কবিতা লেখক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে বেশি পছন্দ করি। আর স্বপ্ন নিজের লেখা গল্প ও চিত্রনাট্যে একটা সফল ছবির অংশ হওয়া।
সেই গল্পটা
কিন্তু গল্পটার শেষে ওদের কোনো নিজস্ব বাড়ী হয়নি
নীল রঙের কাজ করা পর্দা লাগিয়ে উঠতে পারেনি ওরা।
দেওয়ালের যেই জায়গায় ওরা কলকা আঁকবে ভেবেছিল,
সেই অংশ থেকে চুন খসে পড়ছে দিনদিন
ঘরের মাঝেতে একটা বিছানা পাতা, সিঙ্গেল বেড –
তবু দুজন দিব্বি কাছাকাছি শুয়ে থাকা যায়..
বাঁ পাশ ডান পাশ নিয়ে ঝগড়াটা তাই আজও হয়ে ওঠেনি ওদের।
অবশ্য বাঁদিকের দেওয়াল ঘেঁসে একটা কাঠের আলনা আছে –
তাতে শার্ট প্যান্ট শাড়ি ব্লাউজ একসাথে রাখা।
তাদের বাগান করার স্বপ্নটা স্বপ্নই রয়ে গেছে
ছোট্ট টেবিলের উপর কয়েকটা বই, আর তার পাশে একটা ফুলদানিতে কটা নকল ফুল ফুটে আছে শুধু।
গল্পের শেষে ওদের তাই অনেক কিছুই হয়ে ওঠেনি –
ওরা পরস্পরের মুখে তুলে দিচ্ছে ডালভাতের গ্রাস
ফাঁকা জানলা দিয়ে মধ্যরাতে কত কত তারা গুনছে ওরা।
সম্প্রতি এক জোনাকির সাথে আলাপ হয়েছে নাকি
তার একটা নামও দিয়েছে, সাঁঝবাতি…