কবিতা সৃষ্টির জন্য যদি একখান ফাঁদ পাততে পারতাম
তবে বন্য অনুভূতিজাত কাব্যগ্রন্থ রচিত হতো।
মাছ ধরা থেকে মশা মারা ইস্তক আছে সবই,
তবে মুখোশ চেনার একটা সার্চ ইঞ্জিন পেলে, মানুষ হতো।
বেসুরে গান ভেঁজে ক্লান্ত
সুর ধরা একটা তানপুরা পেলে,
ছন্দে লয়ে বেশ করে বাঁচা যেত।
যবনিকায় জীবনমুখি একটা সত্যি মানুষের সন্ধান পেলে,
নিদেনপক্ষে বন্ধু হওয়া যেত।
আলু মাখা ভেতো জীবনে
শেষপাতে আচার মাখিয়ে তৃপ্তির স্বাদ ..
রান্না, সে তো নিজেই পারি,
গালের ঘাম মোছানো একটা হাত,
দুদণ্ড শান্তি দিত।
ব্যাঙ্কের বই, হিসেব-নিকেশ,
খরচা সেরে, কষ্ট করেই জমাতে হতো…
ভাগ দিতে বা আস্কারাতে নেই বাধা,
আশ্বাস দৃষ্টি, ক্লান্ত মনে উদাস দুপুরে ভরসা দিত।
কুষ্টি বিচারে মেলানো জীবনে
ভবিষৎ মানসী মাঙ্গলিক হলেও প্রেমটা হতো।
চোখে চোখ মেলানো প্রেম বড় একঘেয়ে,
চুম্বনে বিষ হলে প্রেমটা জমে যেতো।
কয়েদি হতে রাজি ছিলাম
জেলারের নাম যদি নদী হতো,
ধরা দিতে প্রস্তুত আজও
শেষ রাতে যদি কবি খুন হতো!