অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল প্রাঞ্জল ।
ব্যথায়, অসহায়তায় হোঁচট খেয়ে চলা জীবনের গন্ডিটাকে ছিন্ন করবার অদম্য কামনা নিয়ে ।একঘেয়েমির জমে যাওয়া জীবনের পঙ্কিল কর্দমাক্ত যাপন থেকে বাঁচতে ।বাসস্থানের চেনা শয়নকক্ষের জানলা-দরজা যেন সংকুচিত হয়ে চেপে ধরতে চাইছিল তার সত্তা।সংসারের জটিলতা, নানান ঘাত প্রতিঘাত ক্রমশ ছোট করে ফেলছিল সাংসারিক ইতিবৃত্ত ।স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য ইন্ধন যোগাচ্ছিল অকারণে কিংবা অন্যকারণে।
অ্যালঝাইমার হলে নাকি কারো কারো বর্তমান স্মৃতির ছাপ হালকা হয়ে যায় ।কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছরের স্মৃতি?
নিদেন ফোন নম্বর!বেশ কয়েকদিন ফোন আসেনি ও প্রান্ত থেকে ।জীবনের নতুন সঙ্গীত শোনার জন্য অনিমিখ থাকতো প্রাঞ্জল ।চেষ্টা করছিল সব মিথ্যে গুলো যেন সত্যি হয় বা সব সত্যি গুলো যেন মিথ্যে হয়।
ফোনের ও প্রান্ত কয়েকদিন নিশ্চুপ ।
অ্যালঝাইমার কি শ্রবণ শক্তিকেও বধির করে?
রাত ঝিমঝিম করে।প্রাঞ্জল ঘড়ির দিকে তাকায় ।ঘড়ির কাঁটাও স্থির ।ব্যাটারি শেষ ।কাল ওটা বদলাতে হতো ।মনে করতে থাকে ফোনের নম্বরগুলো। ঘুমের সত্তার কাছে পরাজিত প্রাঞ্জল আকাশের চাঁদের দিকে তাকায়।করাত দিয়ে সেই চাঁদ ও কাটা।