মার্গে অনন্য সম্মান শুক্লা বিশ্বাস (সেরার সেরা)

অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার

পাক্ষিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ২৫
বিষয় – চড়ুইভাতি

বনভোজন

শীতের সকাল মিঠে লাগে জীবন ভাসে দূরে,
চড়ুইভাতি, বনভোজনের স্মৃতি হৃদয় জুড়ে।
ব্যস্ত জীবন ছুটোছুটি সকাল সন্ধ্যার বেলা,
মন চলে যায় বনভোজনে শত জনের মেলা।
আগে থেকে অনেক খুঁজে জলাশয়ের পাড়ে
তাল তমালের সবুজ বিথী আছে সকল ধারে।
পিকনিক স্পটের চারিদিকে নরম দূর্বা ঘাসে,
নিরিবিলি মনের ফাগুন স্নিগ্ধ আলোয় হাসে।
চড়ুইভাতি মনের খুশি পাড়ার সবাই মিলে
খুশির চোটে যাই হারিয়ে বয়সটা যায় হিলে।
কচি কাঁচা দলে থাকেই থাকত দিদুন দাদু,
কত রকম খেলার ছলে শিখি কতো জাদু।
আধা সেদ্ধ মাংস তখন ছিল স্বাদে ভরপুর
কলাপাতায় ঘন ডালে মন যেতো অচিনপুর।
ছোটবেলার চড়ুইভাতি আজও পিছু টানে
নিত্য নতুন পিকনিক দেখে স্মৃতি সুধায় টানে।
পিকনিক এখন হচ্ছে শুধু খাওয়ার নামে মাতে
নামী বাংলো রাঁধুনী চাকর করছে হাতে হাতে।
গাছের তলায় বসে নাতো টেবিল চেয়ারে খায়,
বনভোজন যে কলাপাতায় অবাক হয়েই যায়।
শীতের ছোঁয়া লাগলে আজো মন চলে যায় দূরে
আসর হতো পিয়াল বনে মাদল বাজত সুরে।
ছোট বড়ো পাড়ার সবাই বনভোজনেই মিলন,
বনি দাদা রান্নার জোগাড় মাংস কসায় জীবন।
আমরা সবাই রাঙা ধূলোয় আসন পেতে বসি,
সবাই মিলেই রুমাল চুরির হৃদয় রতন পশি।
বড়ো দুটো কাঠের উনান গনগনে তার আগুন,
বনভোজনে মিলে মিশে বিরাজ করতো ফাগুন।
এলো আবার শীতের বেলা স্মৃতির রোমান্থনে,
বাঁচা মরার লড়াই চলছে আতঙ্ক আজ মনে।
মন খুশিতে বললে পরেই পিছে ফিরে তাকাই,
পাইনা সুযোগ চড়ুইভাতির ত্রাসে বিরাজ সবাই।।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।