চার দিকে নির্বাচনের দামামা বাজছে। মানুষ ভীত, বিব্রত, নিহত।
মুশকিল বাড়ে যখন রাজনৈতিক যুদ্ধ ক্ষেত্রে ধর্ম শব্দটা ব্যবহার করা হয়।
ধর্ম বলে কাকে?
ছেলেবেলা থেকে গুরুজনেরা বলছেন, যা ধারণ করে থাকে তাই ধর্ম।
তা হলে ত তাতে রাজনৈতিক রঙ লাগার কোন জায়গাই নেই।
আমি কিন্তু সেকুলার নই।খুব নিরপেক্ষ কাটাছেঁড়া করে দেখতে পাচ্ছি, আমি একেবারেই হিন্দু।
আজ নীল ষষ্ঠী।
বাংলা বছর শেষ হতে চলেছে। আগামি কাল সংক্রান্তি। পুরোনো বছরের শেষ দিন।
নীল অর্থাৎ কিনা নীলকন্ঠ শিবের মন্দিরে আজ সব মায়েরা স্নেহের ভালবাসার জনের মঙ্গল কামনা করে আলো জ্বালাতে প্রস্তুত।
আমিও এঁদের একজন।
আমি এই বিশ্বাস নিয়ে বড় হয়েছি, শিব শব্দের অর্থ যা কিছু মঙ্গলময়। এর কোন জাতিবর্ণধর্ম ভেদ নাই।
মায়েরা চিরকাল চাইবেন চারিদিকে শান্তি থাকুক। অহিংসা থাকুক। আনন্দ থাকুক।
এতে কারো ত আপত্তি থাকতে পারে না।
আমি হিন্দু,তাই আমি সমস্ত ধর্মের প্রতীকে প্রণাম জানানোর ক্ষমতা রাখি। আমি নিজের ভিতরের সততাকে খোঁজা মানুষদের উত্তরাধিকার বহন করি,তাই যে কোন হিংস্রতাকে বাধা দেব।
আমি উত্তম হিন্দু হতে চাই বলেই আমি মানবাধিকারে বিশ্বাসী।
আমি সতের বছর বয়েস থেকে কেয়ার অফ রামকৃষ্ণ মিশন,তাই এমন মানুষরা আমার মেন্টর,যারা মুসলমান,খ্রিষ্টান, সব ধর্মের সাধকদের শ্রদ্ধা করেছেন,সেই সব উপাসনা পদ্ধতিতে নিজেরা পুজো করেছেন,আবার বিদেশি মানুষদের দু হাত বাড়িয়ে কোলে নিয়ে নিজেদের সমাজের মধ্যে আত্মসাৎ করে নিয়েছেন।
আজ আমি এত বড় বড় কথা একটা পাব্লিক ফোরামে বলতে পারছি, কারন কলকাতার একটা হিন্দু ছেলে আমেরিকা গিয়ে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করে এক বিদেশি মেয়েকে নিয়ে এসে এ দেশের মেয়েদের লেখাপড়া করার ব্যবস্থা করতে পেরেছিল।
হিন্দু বলেই পৃথিবীর সমস্ত ধর্মকে আমি আমার ধর্মের অংশীদার মনে করতে পারি।
যারা তা পারে না,তারা আর যাই হোক, হিন্দু নয়।
এই গভীর বিশ্বাস থেকেই সকলের জন্য শুভকামনা রাখি।
নতুন বছরে অশিব শক্তি পরাজিত হোক।
আলো জ্বলুক সমস্ত প্রাণে।