বর্ষাকাল আর খিচুড়ি নিয়ে কথা হতেই পারে, বর্ষাকাল আর ভূতের উপদ্রব নিয়েও বিস্তর কথা হতে পারে। কিন্তু বড়রা হোক কিংবা ছোটরা, সকলেই আজ আমার সম্পাদকীয় নিয়ে আলোচনায় এটা অন্তত মানবে যে এই তিনটি বিষয় একত্রে কিন্তু ভারী রোমহর্ষক। সত্যজিৎ রায়ের দেখানো ভূতের রাজাই হোক, কিংবা যখন আমরা ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের ‘লুলু’, ‘কঙ্কাবতী’, ‘পূজার ভূত’, ‘ভয়ানক আংটি’ বা ‘ভূতের বাড়ি’ পড়ি তখনও এই ভূত নামের বিভীষিকায় হোক, অথবা মানুষের মনের অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা কোনো ভৌতিক সিল্যুয়েট, আমরা কিন্তু বেশ ভয় পেতে শুরু করি।হঠাৎ লোডশেডিং, মোমবাতির আলো আর অঝোরে বৃষ্টি, তার সাথে ভূত নিয়ে আড্ডা জমে যায় সবথেকে বেশি।
বৃষ্টির হালকা আভাস আর তারপরে ভয়ানক মেঘ গর্জন, দুর্যোগ, পাহাড়প্রমাণ জল ডিঙিয়ে বাড়িতে ফেরা আর ঠিক তখনই…রাত্রিবেলা হোক, দিনই হোক, অথবা জঙ্গলের মাটিতে নির্জন, সুনসান দুপুর- ঠিক কিছু না কিছু একটা প্রমাণ তেঁনারা রেখেই যাবেন। আমার মনে আছে পাহাড়ি এক কলেজে চাকরি করাকালীন কার্সিয়ংয়ের ডাউহিল অঞ্চলটি নিয়ে কত্তরকমের ভৌতিক ব্যাখ্যা যেগুলো নিয়ে পরে অজস্র কল্পিত ব্লগ, গল্প কত কি লেখা হয়েছে। এবং কালজয়ী ভূতের গল্পের বা হঠাৎ শিহরণের কথাই যদি বলি, তাহলে বাংলার আরেকজন লেখকের কথা এই মুহূর্তে ভীষণ মনে পড়ছে- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের লেখা অনেক ভূতের গল্প আছে যেগুলি রীতিমতো সত্য ঘটনা অবলম্বনে, এবং রুদ্ধশ্বাসে পড়ে ফেলা যায়।
সাহিত্য হইচই- এর ৩রা জুলাই (শনিবার সংখ্যায় ) আমরা নিয়ে আসতে চলেছি এরকমই কয়েকটি ভূতের গল্প, কবিতা, ভূত দেখা/ অনুভব করা নিয়ে অভিজ্ঞতা, ভূতের গল্পের আলোচনা, প্রিয় ভুতুড়ে গল্পের লেখক ইত্যাদি। ছোটরা, এবং বড়রা যারা ছোটদের জন্যে লেখো তারাও, সবাই লেখা মেইল করো আমাদের- techtouchtalk@gmail.com / sreesup@gmail.com