প্রতিযোগিতা কথাটা হয়তো আজ আর শুধু একটি স্বল্প পরিসরে আবদ্ধ নয়. শিশুমনে,কিশোর-কিশোরীদের মনে সবরকম জায়গায় এই প্রতিযোগিতা কথাটি বহুবিস্তৃত হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রপতি পদের জন্যে দৌড়, ক্রস-কান্ট্রি রেস বা স্কুল ভ্যালিডিক্টোরিয়ান হওয়ার দৌড়, প্রতিযোগিতা সর্বত্রই রয়েছে। তবে আসলে কি এটি একটি ভাল জিনিস? এটা কি আমাদের বাচ্চাদের মধ্যে উৎসাহ যোগান করে এমন কিছু? বাচ্চাদের প্রতিযোগিতা সম্পর্কে শেখানোর ক্ষেত্রে মিশ্র পর্যালোচনা রয়েছে। কিছু লোক বাচ্চাদের প্রতিযোগিতায় উন্মোচিত করে তাদের জেতানো এবং হারানো সম্পর্কে বাস্তব জীবনের শিক্ষা দেয়। অন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে এটিও দেখা যায় যে প্রতিযোগিতা ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি করে। যেভাবেই হোক না কেন উভয় পদ্ধতির পক্ষে মতামত রয়েছে।
এটি অনস্বীকার্য যে জীবনে চলার পথে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। পরীক্ষা থাকে নানা রকমের। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রতিযোগিতার বিরোধিতাকারীরা এটিও বিশ্বাস করেন যে বাচ্চাদের যখন প্রতিযোগিতামূলক সেটিংয়ে রাখা হয় তখন তারা প্রায়শই হতাশ, পরাজিত এবং নিজের সম্পর্কে খারাপ বোধ করে। সবচেয়ে খারাপ বিষয়, তারা বিশ্বাস করে যে এটি আত্মমর্যাদার জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে, বিশেষত যদি তারা মনে করে যে তাদের প্রচেষ্টার জন্য তারা স্বীকৃত হচ্ছেনা।
কিছু ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল হলো বাচ্চাদের ব্যর্থতা থেকে রক্ষা করা। ব্যর্থতা খারাপ জিনিস নয়। এটি অস্বস্তি বোধ করাতে পারে তবে এটি শেখার একটি দুর্দান্ত সুযোগ। আসলে, ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা কেবল বাচ্চাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে এবং দক্ষতার উন্নতি করতেই অনুপ্রাণিত করে না, একাধারে এটি তাদেরকে আরও সক্ষম এবং প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠতে সহায়তা করতে পারে। এটি জানা খুব দরকার যে পরিস্থিতি শিশুদের বা কিশোরদের কীভাবে হারাতে পারে কিন্তু তবুও তাদের সংকল্প, প্ৰচেষ্টা এবং টিঁকে থাকার অদম্য লড়াই যাতে তাদের পিছপা না করে।
আমরা শনিবারের সাহিত্য হৈচৈ- তে প্রতিযোগিতা আনছিনা, শুধু নিয়ে আসছি একঝাঁক খুশির উপকরণ। ছোটরা, বড়রা সবাই লিখবে,