“কে তোমার স্ত্রী? কেই বা তোমার সন্তান? এই সংসার হল অতীব বিচিত্র। তুমি কার? তুমি কোথা থেকে এসেছ? তত্ত্ব সহকারে এই বিষয়ে চিন্তা করে দেখ।”
না আমি কোনো শ্লোকের মানে বোঝাতে বসিনি। হঠাৎ করেই স্লোকটা মনে নয়, কানে এলো সাথে বক্তা(হয়তো শুধু আমাকে উদ্দেশ্য করেই) বাংলা অর্থটা বলে দিলেন। ঈশ্বরের কৃপা ছাড়া সকাল সকাল এমন প্রাপ্তি মেলেনা তাই এটা নিয়েই ভাবতে শুরু করলাম মননে। শেষ সমীপেষু তে এই সংসার নিয়েই কচকচ করছিলাম আর আজ সকালে যখন সমীপেষু লিখতে বসবো তখন এমন প্রাপ্তি যোগসূত্র তৈরি করে দিলো নিজের অজান্তেই।
“এমন দিনে তারে (এই পাতার দর্শকের) বলা যায়” সম্পাদক হওয়া আর সংসারের চাল-ডাল-সব্জি- নুনের হিসেব রক্ষক কর্তামশায়ের পদ দুটোর ফারাক খুব একটা নেই। ওখানে যেমন কোন দোকানের চাল ভালো – কোন দোকানের নুন নাকি শপিং মলে বিস্কুটের প্যাকেট এক টাকা কম এসব ভাবতে হয় এখানেও তাই – কাকে কী লেখাবো আর কাকে পেন থ্রু করবো। এসব নিয়ে ভাবতে ভাবতে সপ্তাহের ভবতরী পার হয়ে যায় আমার। তবুও আমার হিসেব মেলে কই! বেশ লাগে।
না আবার বলছি আমি সম্পাদকের কর্তব্য নিয়েও চর্বিত চর্বণে যাবো না। যোগ আসনে বসে আমি সংসারীক টানাপোড়েনের চিন্তা করিনা। কারণ ক্ষেত্র দুটো আলাদা যেমন করিনা সম্পাদকের ডেস্কে বসে শর্ষে বাঁটার চিন্তা তাই দুটো কাজই আমার ভাষায় সুসম্পন্ন হয় সময়ের আগেই। এই দুটো কাজ করতে করতে শ্লোকটা ঝালিয়ে নিচ্ছি আজকাল। সত্যিই তো – কে আমার কী!
“পদ্মপাতার উপর জলবিন্দু যে রকম অস্থির, প্রানীর মধ্যে প্রাণও সেই রকম অস্থির। তাই এই ক্ষণজীবনে যদি ক্ষণকালের জন্যও সাধুসঙ্গ করে থাকো তাহলে এই ভব সাগর হতে সেই সাধুসঙ্গ নৌকা হয়ে তোমাকে পার করে দেবে।”
দিনের শেষে দাঁড়িয়ে বাস্পে তেষ্টা মেটে না যেমন ফালতু চেঁচামেচি বা উড়ো খবরে আন্তর্জাতিকতা নষ্ট হয় না।দুটোর দাবী আলাদা ছিলো, আলাদাই থাকবে।
পুনশ্চঃ পদ্মপাতার উপরের জলবিন্দুর বাষ্প হবার চেয়ে পাঁকের পুকুরে মেশার ভয় অনেক বেশি থাকে।