T3 সাহিত্য দ্রুমের হাফ সেঞ্চুরি পর্বে সোমা চট্টোপাধ্যায় রূপম

গল্পবলা কল্পকথা

স্টেশন হাঁটছিল ট্রেনের সাথে পা মিলিয়ে। এক পা দু পা করে বেতালা হবার ভূত মাথা থেকে সরিয়ে।কেউ চিনিয়ে দেয়নি সঠিক উজ্জাপনের ভঙ্গিমা তবু কেমন যেন চেনা লাগছিল সবটাই। সেই আকৃতি সেএই প্রকৃতি…
তারকাটা গাংচিলটা কখন থেকে ডেকেই চলেছে একনাগাড়ে,ভোর হতে তবুও বাকি কিছুটা। এখানে দাঁড়ালেই দেখা যায় মেঠোজোনাকির আলো, কাদাগন্ধের বড় ইঁদুরদের। ওদের কোনো কথা রাখার দায় নেই- দাবিদাবাও নেই তেমনই। তবুও কেমন করে আটকে থাকে সম্পর্কে কে জানে!
মুক্তিবন্ধের মাঝের আলাপটুকু ওদের নিজেদেরই কখনও পরে যাবার ভয় নেই এক কণাও। আসলে সম্পর্কের নাম থাকার চেয়ে শক্ত ভীতটা জরুরি।
এক আকাশ রং ছেড়ে মেঘ চলে যায় শাক্যরাজ্যে।তখনই রামধনু নামে একপৃথিবী। কবিতা হয়ে যায় প্রজ্ঞা।প্রেমের সংজ্ঞা খোঁজা যুগল পারি দেয় সুসজ্জিত কোনো বিউটি পার্লারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য কয়েকটা বছর পিছিয়ে নিতে। পঞ্চতপা শেষ করে তখন হয়তো অপেক্ষা করছে কোনো পারমিতা কিংবা সংসারমতি পারমিতারা সিদ্ধার্থের রাস্তায় পালিয়ে যাবার অকল্পনীয় পরিকল্পনায় ব্যস্ত। যেতে যেতে যে প্রেমটুকু পাওয়া হয়েছে তাতেই আছে সত্ত্বাতত্ত্বের সংজ্ঞা। সেটুকু খুঁজে পেলেই চিরবরফের দেশের সংলাপ লেখা যায়। ভালোবাসা পেয়েছি বলে সবকিছু মিলিয়ে দেওয়া যায় মাটিতে কিন্তু প্রাণ! প্রাণ দেওয়া যায় কী?? আত্মহত্যা মহাপাপ : ভালোবাসার জন্যও!
চিরকৃতজ্ঞ থাকা চূড়ান্ত অকৃতজ্ঞ পর্দাটা সরে গেলে মঞ্চের ভাঙাচোরা অংশটা আরও ভেঙে গিয়ে বলে প্রাণ দেওয়ার আসল গল্পটা। আসলে গল্পরা বড় বেইমান,নিজের কথা বলতে গিয়ে ভুলেই যায় প্রকৃত প্রিয় হবার অভিনয় পন্থা তাই জিতে যাওয়ার গল্পর পিছনের রাজনীতিটা বোঝা হয়
না কোনোদিন। মন্দিরে মধুর থেকে ধূপ-বাতি বেশি দেওয়া হয় কারণ ওখানে ছল চলে না,নিজেকে উজার করেই সুখ যেমনটা শ্রাবণ করে, যেমনটা শ্রীরূপা করে।
হেরে যাওয়াগুলো কখনও অভিনয় হয় না। যেরকম কিছু জিতে যাওয়া ছলনাময় হয় না। হার এবং জিতের আপেক্ষিকতায় যে সম্পর্ক জন্মায় তার জাল খুব শক্তিশালী না হলেও পর্দা বড় দায়। তাই গল্পের নটেগাছ মাথাচাড়া দেবার আগেই খাদ্য হয়ে যায় কোনো মহাজাগতিক নিয়মে। সেগুলো যুগলযাপনের ডাকনামের মতোই শ্রুতিমধুর তো হয় তবে পরিস্থিতি সাপেক্ষে। ডাকনাম আর সর্বনামের ফারাক খুব কম ,দুধের সরের মতো আপেক্ষিক।
ডাকনাম গুলো হারিয়ে গেলেও সময় হয়ত সর্বনাম কেড়ে নিতে পারে না। বালির পাঁচিলটা তৈরি হয়েই যায় কথার ফাঁকে আর অভিমানী চোরাস্রোত বইতেই থাকে শ্রাবণী শ্রীরূপ হয়ে…
“প্রদীপের মতো
সমস্ত সংসার মোর লক্ষ বর্তিকায়
জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমারি শিখায়
তোমার মন্দির-মাঝে।”
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।