মনের কোণে আসে করে ভিড়
কুয়াশালিঙ্গনে আবিষ্ট শীতের সেই মনোহর প্রভাতগুলি।
যখন দুজনার অনাবৃত চরণপটে
অবিরত বুলিয়ে যেত কুহেলিসিক্ত তৃণদল এক স্নেহের তুলি।
বর্ণাঢ্য এক জীবনকক্ষে ছিল হর্ষালোকের অবাধ আনাগোনা,
বিষাদের আঁধার কেমনে তারে করল গ্রাস থাক সে উপাখ্যান সকলের অজানা।
কার ছিলো ভুল!? দিলো কে মাশুল!?
মেলেনি কভু সেই সমাধান।
কি নাম দেবে!? ঠুনকো প্রণয়,
পাবে না খুঁজে প্রেমের কোনো অভিধান।
আপন প্রেম পরিহারে অনভিলাষী
যে ছিল এক স্বার্থপর —
অমাবস্যার এক রজনীতে সে
তার ভালোবাসার মাল্যটি করল অন্যের পাত্রে দান।
দিলো তার হৃদয়ে রচিত
স্নিগ্ধ ভালোবাসার অপরূপ রূপের নিঠুর বলিদান।
সুখাবশিষ্টের আচ্ছাদনে ভালোবাসাকে সযতনে মুড়িয়ে শেষ বিদায় জানিয়ে সেদিন সে হয়ে উঠল প্রথম ‘পরার্থপর’।
একদিন সহসা মনের অলিন্দে
অগোচরে ঢুকে খুলে দিলে তুমি
অনেকদিনের রূদ্ধ এক বাতায়ন।
তোমার হাতের কোমল পরশে
আজ এক নবীনালোকে সেজে উঠল
আমার তমসাচ্ছন্ন হৃদয়প্রাঙ্গন।
মৃদুল পবন উড়িয়ে জীমূত
ঠিক যেমন ভাঙায় গগনের সুপ্তি
কেশপুঞ্জের অন্তরাল সরিয়ে তোমার
নিদ্রাতুর আনন দর্শন এ যেন এক পরম প্রাপ্তি।