(৩)
“এইযে শুনছো?” কাকলিদেবী মানে সোহাগের মা হাউসকোটের কাপড়ে ভেজা হাত মুছতে মুছতে অমিত বাবুর সামনে এসে দাড়ালেন।
“কি হলো ?’অমিতবাবু খবরের কাগজ পড়তে পড়তে বলেন
“আর কদিন তুমি কপালের উপর চোখ তুলে থাকবে শুনি?”
” আবার কি হলো?”
“কি হওয়ার বাকি আছে? মিষ্টি বলেছে অংশুকে বিয়ে করবে না!”
অমিত বাবু এবার নড়েচড়ে বসলেন,” কেন ওখানে কি সমস্যা?”
“সমস্যা তো একটা নয়, একটা বড় লিস্টের ফর্দ
ধরিয়েছে তোমার মেয়ে। চাকরি না পেলে বিয়ে করবে না ,ছেলেটা নাকি মেনিমুখো ,মিষ্টির নাকি তাকে দেখলেই বিরক্ত লাগে আরো কত কি।”
“বল কি!”
“তাহলে আর বলছি কি! এদিকে তুমি ওদের কথা দিয়ে বসে আছো!”
“ওর আবার অন্য কাউকে পছন্দ না তো? আচ্ছা চিরাগের সাথে কোনো ব্যাপার নেই তো?”
“চিরাগ ?আরে না না, চিরাগ হলে তো আমি খুশি হতাম, চিরাগ আর মিষ্টি ভালো-বন্ধু ওদের মধ্যে অন্য কিছু নেই।”
“তুমি ঠিক জানো?”
“ঠিক জানি বলেই তো মনে হয়, তাছাড়া চিরাগের নাকি অনেক গার্লফ্রেন্ড আছে ,সেসব তো মিষ্টিই বলছিল। আসলে তোমার মেয়ের চালচলন তো ছেলেদের মত ,সিগারেট খায় তা আমি জানিনা ভেবেছো!একদিন একটা ভালো শাড়ি সালোয়ার-কামিজ পড়তে দেখলাম না , তোমার এই মেয়ে নিয়ে কপালে দুঃখ আছে বলে দিলাম!”
“অমন সিগারেট দু-একটা আজকালকার দিনের মেয়েরা খায় ,সবাই তো সমান নয় ,তুমি বরং ওর সাথে একবার ভালো করে কথা বলে দেখো, সমস্যাটা কোথায়? চিরাগের প্রসঙ্গটাও একবার তুলো।”
“তুমি বলছো যখন বলে দেখবো কিন্তু চিরাগ ফিরাগ কেউ নয় ,ও মেয়ে প্রেম করার মেয়েই নয় কারো সাথে অ্যাডজাস্ট করতে পারবে না আমি বলে দিলাম দেখো, কাকলীদেবী চেয়ার থেকে উঠে আর দ্বিরুক্তি না করে রান্না ঘরে চলে গেলেন।