বুকের ভেতর সাংঘাতিক কাঁপুনি অনুভব করল সিদ্ধার্থ,তবে কি শত্রু পক্ষের হাতে নিজেকে সমর্পণ করে ফেলবে,ছজন তাকে ঘিরে ফেলেছে, রুম নাম্বার বত্রিশ।জিকো নামের বছর ছাব্বিশের ছেলেটি, অনর্গল কিছু বলে চলেছে ; দলের পান্ডা তাকে ঐ নমেই ডাকছিলো।
নামটা বেশ ডালো ।
ছোট ভাই ঋতম,গেল বছর ভোটের দিন বুথ এজেন্ট ছিল, কারা যেনো পরদিন ওকে গুলি করে। লেলিন, মাওসেতুং, চে গেভারা ওর মুখস্ত। কলেজ রাজনীতি করত আর কি সব বিপ্লবের বুলি আওড়াত।
সিদ্ধার্থ এসব বোঝে না বরাবর মেধাবী সে শিবপুর থেকে পাশ করে এখন পুণেতে চাকরি।ঝাড়খণ্ডে প্রজেক্টের কাজে এসেছে, কদিন আগে শুনেছিল মাওবাদী কার্যকলাপ বেড়েছে , এসব কথায় আমল দেয় নি…
হোটেলটা ঘিরে ধরেছে এরা।
কিছুক্ষণ হল ওদের পান্ডাটা বেড়িয়ে গেলো, জিকোকে রেখে। হঠাৎ বাইরের থেকে ঝাঁকঝাঁক গুলি ছুটে এলো, সিদ্ধার্থকে গার্ড করে জিকো ফায়ারিং করছে কিছু পরে ওর বুকে গুলি লাগে লুটিয়ে পরে, একজন সেনা অফিসার সন্তর্পণে রুমে ঢুকে ওর বুকে পা দিয়ে ওয়াকিটকিতে জানায় অল ক্লিয়ার।