এখন হেমন্তের রেলিং জুড়ে বিষাদ সন্ধ্যা
এখন আকাশে কোন তারাই স্পষ্ট নয়
আমাদের দুচোখে অনুসন্ধানী সব তারা
আকাশ তোলপাড় করে ঘর খুঁজছে,
ঘরহীন এক আশ্রয়কাতরের চোখ এসে
চশমার মত এঁটে বসেছে নাকের দুপাশে …
মাথার ‘পরেতে বিস্তীর্ণ আকাশ, ছাদের অবর্তমানে
হাত বুলিয়ে বুলিয়ে কেবল মুখ মুছি
ধোঁয়া মাখা কুয়াশায় যে মুখ আবছা আর যার মুখ
চোখে ভাসে, ভুলি না কখনো… তাদের স্মরণ করে
রেলিঙেতে সুখ রাখি। থ্রিকোয়াটারের ঢিলেঢালা গীঁটে
অস্বস্তি মিশে গেলে কবিতা লিখি না আর-
ওসব আহাম্মকি করা চলে নাম-কুড়ানীদের
এখন হেমন্ত
আর রেলিঙের ধারে ধারে চুপচাপ গোপণ সংকেত
অবোধের চোখে তাই ঠুলি ঝোলে
সংকেত বুঝে নিতে বোধিসত্ত্ব একা একা পায়েস খেয়েছে।
আমরা এখনো খুঁজছি
বোধ না আশ্রয়!
সে সব গোপণ কথা বোধিসত্ত্ব জানেন আর
জানে তার আধখাওয়া অবশিষ্টের চরুপাত্রখানি।