সম্পাদকীয়

মহামারী এখনো শক্ত মুঠোয় শ্বাস রোধ করে রেখেছে মানুষের। উচ্চনীচ ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে মৃত্যুভয়ের চোখ রাঙানি চলেছে সারা বিশ্ব জুড়ে।
তবু, মানুষ হাল ছাড়েনি।
প্রতিষেধক তৈরী করে মানুষের কাছে পৌঁছাতে চেষ্টা চলেছে সব দেশে।
জীবন আর মৃত্যুর এই দড়ি টানাটানি যেন সমুদ্র মন্থন দেব আর দানবে মিলে। এ প্রবল কর্ষণে কি উঠে আসে সঙ্গে সেই হিসেব করতে বসেছে মন।
যে সব মন আগে বলত গভীরে যাও ; যারা অগভীরতার অভিযোগ শুনলে প্রবল প্রতিবাদ জানাতো, তারাই আজ মুচকি হেসে বলছে, অবশ্যই ভেসে যাবো।
ডুবুরি হতে আছে এই হলাহলে ?
উঁহু।
বরং সর্বদা ভাসমান।
নৌকোর ভাসন্ত ছায়া জলের বুকের মধ্যে রোদ
ভেসে থাকা দূর্বাঘাস ভেসে যাওয়া অচেনা আঁচল
গভীরে কে যায় বলো
কে জানে কি লুকিয়ে রেখেছে
আতঙ্ক আহত পশু দীর্ঘ ছায়া
ডুবে যাওয়া গান
শ্যাওলার সবুজ আর নীল বিষে
সওয়াল জবাব
এইসবই গভীরতা
এখানে কি পা রাখতে আছে
ভেসে যাওয়া ভেসে থাকা
হেসে রঙ মেখে থাকা ভালো
রোদের হলুদ আর হাওয়ায় ঢেউয়ের
ওঠানামা
সবই শুধু ভাসমান শুধুমাত্র পৃষ্ঠার উপর
গভীরে নিষিদ্ধ দৃষ্টি
সকলের প্রবেশ নিষেধ
শীর্ষ ছুঁয়ে চলে যাই
সমতল অল্প একটু ছুঁয়ে
অগভীর ভালোবাসি
বৃষ্টি মুছে ফেলি রোজ রোজ
গাঢ় সব দাগ মুছি
জীবনের হৃদয়কে চিরে
হাল্কা হাসি ফেনা দিয়ে
চোখের কাজল কালি ধুই
নিওনের চড়া আলো
উচ্চ হাসি উচ্চ উচ্চারণ
সব গভীরতা ঢেকে
আলো আর ছায়ার বিরোধ ।

সোনালি

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।