সে দফা অব্যর্থ নিশানার লাঠির ঘায়ে ইঁদুর মরেছিল।
তারপর ইঁদুর কল, নতুন নর্দমায় জালি লাগানো ইত্যাদি হয়ে কমেছিল ইঁদুর আতঙ্ক।
সবাই ধীরে ধীরে ফিরছিল অভ্যস্ত ঢিমে তেতালা জীবনে।
সকাল নটার মধ্যে দাদু বাদে বাড়ির পুরুষরা যে যার কাজে বেরিয়ে যান।
সাতটা থেকে সাড়ে আট অব্ধি হই হই চলতে থাকে।
চানের জল।
বাথরুমে কে? শিগগিরই বেরো, বেরো বলছি।
জামা কই। প্যান্ট কে দেবে?
আরে, মোজা দুটো দু রকম কেন? আজ আর অফিসে যাওয়া হল না।
জল খাবার দিলে না। থাক, না খেয়েই বেরিয়ে যাচ্ছি।
লাঞ্চ বক্স? পান কই প্যাকেটে?
বাড়ির বউয়েরা ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে চলে। এক দিকে সকালে দুধ এনে জ্বাল দিয়ে এত গুলি চা করা । কারো রুটি তরকারি। কারো দুধ বা দইয়ের সাথে চিঁড়ে কিশমিশ। কারো পাঁউরুটি টোস্ট।
এক সাথে জামা কাপড় খাটে থরে থরে সাজিয়ে রাখা। সঙ্গে সারা দিনের পান ইত্যাদি। পাশে যাতায়াতের টাকা, খুচরো পয়সা। মোজা, রুমাল। এবং দুপুরের খাবার হটপটে ভরে দেয়া।
এ বাড়ির ছেলেরা নিজেদের কিছুই নিজেরা সামলান না।
সবই গিন্নিদের সাম্রাজ্য।
এরা বেরিয়ে গেলেই, সারা বাড়ি চায়ের কাপ হাতে নিয়ে এক গাল হেসে বলে, শান্তি।
এই বার চলো, একটু গল্পে বসি।