• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় শিবদেব মিত্র

ধুম!

একদা এক পরিব্রাজক সন্ন্যাসী মাধুকরী কালে, ক্লান্ত-শ্রান্ত ও অবসন্ন হইয়া পথিমধ্যে এক জীর্ণ শীর্ণ দেবালয়ে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। প্রায় জনশূন্য সে পরিত্যক্ত দেবালয়ে এক করাল বদনা মৃন্ময়ী কালিকা দেবী মূর্তি প্রতীয়মান হইলেও, সন্ন্যাসী তাহাতে ভ্রুক্ষেপ করিলেন না! মৃন্ময়ী চিন্ময়ী নহেন। চিন্ময়ী রহিলে, দেবালয়ের অবস্থা এরূপ শ্রীহীন রহিত না! ইত্যাদি প্রভৃতি বিবেচনা করিতে করিতে তিনি গঞ্জিকা সেবনের প্রস্তুতি লইতেছিলেন!
ইত্যবধি শুনিয়া ভক্ত উৎকন্ঠার সহিত সুধাইলেন, যোগী ইহাই তো স্বাভাবিক! যোগী ইহা শুনিয়া কাহিনীর পরবর্তী অংশ ব্যক্ত করিতে তৎপর হইলেন!
গঞ্জিকা নির্মাণান্তে কলিকায় অগ্নি সংযোগ করিতে যাইবেন, এমতাবস্থায় সন্ন্যাসী তাঁহার পশ্চাতে আচমকাই এক হস্ত স্পর্শ অনুভব করিয়া পশ্চাত অবলোকন নিমিত্তে গ্রীবা বিভঙ্গ করিতেই তাঁহার চক্ষু চড়কগাছ!
মৃন্ময়ী সে মাতৃ মূর্তি স্বয়ং চিন্ময়ী রূপে বিরাজমান !
দেবীমূর্তি সুধাইলেন, বৎস! ধুম উদ্গীরণে প্রবৃত্ত হইয়া আমোদ পাইতেছ, ইহাতে আপত্তি নাই। কিন্তু ভাবিয়া দেখিয়াছ কি, এই গঞ্জিকার মৌতাতে আমোদ পাইয়া যদি ভোলানাথ জাগিয়া ওঠেন , তাহা হইলে কি হইতে পারে…?
ইহা বলিয়াই দেবীমূর্তি অন্তরালবর্তিনী হইলেন। যোগী কাহিনী থামাইলেন। ভক্ত বিবেচনা করিতে রহিলেন…
সন্ন্যাসী তাহার পর কি করিয়াছিল, আমাদের তাহা অবগত নহে! আমরা আশা করি, সন্ন্যাসী সাধু পথ অনুসরণ করিয়া থাকিবেন!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।