পাক্ষিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ১৫
বিষয় – নারী নির্যাতন
তারিখ: ০৮/১০/২০২০
পুড়িয়ে দিয়েছি
আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছি বন্ধু আর নেই কোনো ভয়,
জাত পাত আর ধর্ষণ নিয়ে মিটিয়ে দিয়েছি দায়।
মাঝ রাত্তিরে পুড়িয়ে দিয়েছি প্রমাণ লোপাট করে,
দলিত বেটির স্পর্ধার দায় মেটাই এমনি করে।
দলিত মেয়ের শরীর সস্তা এটা সকলেই জানে,
উচ্চবর্ণ চেখে ফেলে দেবে এটাও সকলে মানে।
ধর্ষণ খুন কতো কে তো করে ওরা ধর্ষিতা হয়,
তা বলে বিচার চাইতে আসাটা স্পর্ধা বৈ তো নয়।
উচ্চবর্ণ এঁটো করে দিলে ভাগ্য মানতে হয়,
ধনীর দুলাল তায় উঁচু জাত হজম করতে হয়। বর্ণহিন্দু অতি বড়ো দাপ কাকে তোয়াক্কা করে,
দলিত রমণী, বালিকা ও বধূ আস্তাকুড়েই মরে।
গরীব মধ্যবিত্ত লোকেরা মিছে চেঁচামেচি করে,
বর্ণ হিন্দু পয়সায়ালাকে চিনবে কেমন করে।
বাবা,মামা,কাকা,পিসাতো ভাইরা ক্ষমতায় আছে সবে,
ন্যায় অন্যায় বিবেক বিচার সব ধামাচাপা দেবে।
শতকরা যত কমই হোক না ওরাই ক্ষমতা ধারী,
নারী নিগ্রহ ধর্ষণ খুন করে সদম্ভ করি।
প্রমাণ লোপাট অথবা নেইকো বিচারের দরবারে
নির্ভয়া হোক হাথরাস হোক কাঁদে যে অন্ধকারে।
রামরাজ নাকি গড়ে দেবে কেউ দর্পে ঘোষণা করে,
অনাচারেতেই লাখো লোক মরে তার কে বিচার করে।
পয়সা ছড়িয়ে কিছুদিন ওরা মুখে হাত চাপা দেয়,
গরীব দলিত শ্রমিক মজুর অস্ত্রেতে শান দেয়।।