কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব – ১৬)

অনন্ত – অন্তরা

আপনি পাথর তো নন- মন আছে বুঝতে পারেন – অনুভূতি আছে – প্রশ্রয় দেন না – মানুষ না পেলে কেনই বা সেই প্রশ্রয় দেওয়া – আমি চাই না আপনার মতো একজন ভালো মানুষ নিকষ সাদৃশ্য মানুষের দেখা না পেলে সেই গভীরতায় সাধারণ কেউ ঠাঁই পাবে না । বাস্তবতায় সেই সম্পর্ক টেনে নিয়ে আসতে তেমন কাউকে জীবনের প্রয়োজন ।
আপনার কথাগুলি এই প্রথম এই জগতে এসে ভালো লাগলো – এই ভাবনার মানুষের সাথে এই প্রথম দেখা হয়তো আরো আছেন কিন্তু আপনি আমার দেখায় প্রথম – হতো এটা আমার ভাবনার জন্য কিছুটা হলেও পজিটিভ । আচ্ছা – আপনার সম্পর্কে কিছুই জানা হল না – এতো লম্বা সময় ধরে বকবক করছি অথচ আপনাকে জানা হল না – মোটেও ঠিক হয়নি এটা – এই জন্য আমি আন্তকির ভাবে দুঃখিত । যদি কিছু মনে না করেন অন্তত আপনি কী করেন সেটা বলুন – নিশ্চয় নাম আপনার অনন্ত?
হ্যাঁ- আমিও আপনাকে জানতে চেয়েছিলাম –কিন্তু দুর্ভাগ্য সুযোগ পাইনি – এই সুযোগ দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে সাথে আপনার পরিচয় ও ফিডব্যাক চাই । তাহলে জানুন – আমি অনন্ত মনে প্রাণে একদম নিখাত অন্তরার সনে – ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করছি social welfare এ
ছয় মাস আছি এখানে তারপর এখন ভাবিনি কী করবো-
আমি অন্তরা কোন হৃদয়ে নই আমি – নিশ্চিত আমি আক্ষরিক অন্তরা নামটা শুনতে মধুর- আমিও আপনার পাশেই আছি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে BBA তে শেষ সেমিস্টারে ।
তাহলে তো আপনাকে খুঁজে নেওয়া খুব কঠিন হবে না – আসুন আমরা দেখা করি –
জ্বী না বাবু – সেটা হবে না
ঠিকা আছে আমিই আপানার সামনে গিয়ে দাড়াবো হঠাৎ করে একদিন –
পাবেন না খুঁজে আমায় –
কেন?
অন্তরা আমার ডাক নাম এটা আমার পারিবারিক খুব আদরের নাম – ওখানে এই নামে আমাকে কেউ জানে বা চেনে না ।
তাহলে ?
তাহলে কিছু নয় – আপনি চাইলে এখানে অবসর সময় কাটাতে পারেন – আমারও অবসর সময় কাটেতে খারাপ লাগছে না ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।