• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় স্বপন পাল

পাঁচ নম্বর

কিছুক্ষণ অন্তর চিমনিটার দিকে চোখ চলে যাচ্ছে শ্যামল, পলাশ, অর্দ্ধেন্দুদের। সন্ধ্যে অনেকক্ষণ পার হয়েছে, ঘন্টি শোনার অপেক্ষা। আরও মিনিট পঁয়তাল্লিশ কাটলে আবার ঘন্টি, তখন ছ’নম্বর বডি উঠবে মানে বাসুদার লাশ। সেটাও সময় নেবে মিনিট পঁয়তাল্লিশ। তারপর সব ক্রিয়া কর্ম সেরে বাড়ি ঢুকতে রাত সাড়ে দশ কি এগারো।
একটা হৈ হৈ আওয়াজ শুনে উঠে গেল পলাশ আর শ্যামল, অর্দ্ধেন্দুটা আগেই আধ বোতল টেনে টং হয়ে আছে। মড়া শোয়ানোর চাতালে গিয়ে দেখে বাসুদার লাশটাই পড়ে। যাক তা হলে পাঁচ নম্বর বডি চুল্লিতে ঢুকে গেছে। ওখানে কাজ করে এমন দু’জনকে খুব বিভ্রান্ত মনে হলো। পলাশ বললো, দাদা পাঁচ নম্বর ঢুকেছে ? ওরা পলাশকে ঘিরে ধরলো, পাঁচ নম্বরকেই তো খুঁজছি, কোথায় গেল বলুন তো ? ওদের লোকজনকেও তো দেখছি না। সবাই হাওয়া হয়ে গেল লাশ সমেত ? শ্যামল বললো, সে আমরা কি জানি, আপনি আমাদের ছ’ নম্বরকে চুল্লিতে ঢোকান। উত্তর এলো, আগে পাঁচ তবে না ছয়। পাশেই অন্ধকারের পেট ফুঁড়ে খলবল বয়ে চলেছে অমৃতবাহিনী।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।