ভোর না হতেই মীনা মদখোর বাবার থেকে রেহাই পেতে কীটনাশক খেয়ে ফেলে!
অচৈতন্য অবস্থায় গোয়াল ঘরে পাওয়া যায়,ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়া মেয়ের হাতে লেখা চিঠিতে তার মৃত্যুবরণ এর পেছনের কাহিনি পড়া যায়।
পাড়া প্রতিবেশী ছি ছি করে,এইটুকু মেয়ে কি না এই বয়েসেই মরার কথা ভাবে?
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জানা যায় বিষে ভেজাল ছিল তাই এ যাত্রায় বেঁচে যায়!
হরিপদ বেশ শুধরে যায়,রোজ কাজে যায় মদ ছোঁয় না,মীনাও খুশি।
বেশ কয়েক মাস কাটার পর পুরোনো বন্ধুর সাথে আবার মদের আড্ডা বসায়!
মীনার কথা কানে তোলে না হরিপদ।
মীনা এবার ঠিক করে কারেন্ট ছুঁয়ে মরবে!
সেইমতো মিটার বক্সে হাত দিয়ে বসার আগেই কারেন্ট চলে যায়! আসে পরের দিন সকালে।এ যাত্রাতে মীনার মরা হোলো না!
হরিপদর মাইনে থেকে কোম্পানি বেশ কিছু টাকা কেটে নেয়,এত এবসেন্টের জন্যে।
মীনার সংসার চালানো দায় হয়ে যায়, মা মরা মেয়ের প্রতি ভালোবাসা ত দূর কেউ করুনাও করে না,শুধু আপসোস করে,তোকে জন্ম দিতে গিয়েই তো! তোর মা চলে যায়।
মীনা রেল লাইনে গলা দেয়! কিন্তু সেদিন ছিল ধর্মঘট,রেলের চাকা বন্ধ!