• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় শর্মিষ্ঠা রায় বাজপেয়ী

ভালোবাসার পরিণতি

পরমা একটা নীল রঙের শাড়ি পরলো , খুব সুন্দর করে সাজলো ।প্রায় বছর কুড়ি পর রঞ্জনের বাড়ি আবার সকলের সঙ্গে সকলের দেখা হবে । বছর দুয়েক আগে রঞ্জনের হাত ধরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকলে এক হয়েছে ।
পরমা আর অভি দুজন দুজনকে ভীষণ ভালোবাসত , চেয়েছিল সারাজীবন একসাথে পথ চলতে কিন্তু ওই কলেজের অধ্যাপক পরমার বাবা অমলেন্দু রায়ের চোখে পরে যায় । ক্ষমতার জোরে সম্পর্কও থেমে যায় ওখানেই ।অভি ওই কলেজ ছাড়তে বাধ্য হয় । কিন্তু দুজন দুজনকে মন থেকে সরাতে পারে নি কখন ।
বিকেল বিকেল পৌঁছে গেলো পরমা , গিয়ে দেখলো অদিতি , অর্পিতা নীলাঞ্জনা , অনির্বান , উৎপল—- আরো কয়েকজন এসে গেছে । সকলেই হৈ হৈ করে কথা বলছিল । কিন্তু পরমার চোখ খুঁজে বেড়াচ্ছিল অভিকে । অদিতি লক্ষ্য করে বললো “কিরে অভিকে খুঁজছিস বুঝি?
পরমা বললো ” সকলেই এসে গেছে তাই ভাবছি অভি এখনো এলো না , ও আসবে তো ?”
রঞ্জন এগিয়ে এসে বললো “আসবে রে আসবে ” বলতে বলতেই অভি ঢুকলো ।
সকলেই গল্পে মশগুল । অভি টুক করে পরমাকে বলল চল ওই বারান্দায় গিয়ে একটু কথা বলি ।
” কেমন আছিস বল?বিয়ে করিস না কেন ? ”
পরমা উত্তর দিলো ” ছেলে জোটে নি ” , বলেই হেসে উঠলো দুজন ।
পরমা অভিকে বললো ” তুই বিয়ে করিস নি কেন ? ”
অভি বললো ” আমার মতো ভবঘুরেকে কে বিয়ে করবে বল, ছবি আঁকি আর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এক্সিবিশনে ঘুরে বেড়াই । ও সব সংসার আমার দ্বারা হবে না তাই করিনি ” ।
আলো আঁধারীর বারান্দায় পরমা অভির হাত ধরে বলল ” আমায় বিয়ে করবি অভি “!
অভি ঠিক প্রস্তুত ছিল না । অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলো —
বারান্দার লাইট জ্বলে উঠলো হঠাৎ । রঞ্জন এবং অন্য বন্ধুরা এত বছর পর যখন জানতে পেরেছিল যে ,পরমা অভি কেউ বিয়ে করেনি তাই ওদের ভালোবাসাকে পরিণতি দেবার জন্য এই গেটটুগেদার এর আয়োজন করেছিল । দুজন দুজনের মুখোমুখি হলে আর কেউ কাউকে ফেরাতে পারবে না ।
সকলে হৈ হৈ করে ওদের কে ঠেলে দিলো দুজনের দিকে , ঠেলা খেয়েই অভির গায়ে পরমা পড়ে গেল । অভি ধরে বলল ” অনেক দেরি হয়ে গেল যে পরমা । পরমা বললো ” যা গেছে তা নিয়ে ভাবিস না বাকি জীবন আমাদের ভালোবাসাকে নিয়ে একসাথে পথ চলবো ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।