ঈশ্বর কি ডাক পাঠান ভক্তকে তাঁর কাছে দেখা করতে আসার জন্য? বিশ্বাসীরা বলেন হ্যাঁ..অবিশ্বাসীরা কিছুই মানতে চান না। বিশ্বাস অবিশ্বাস দোলাচলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আমার এই ভ্রমণ কাহিনী। চলবে বেশ কয়েক সপ্তাহ জুড়ে। আজ থেকে ঠিক দশ বছর আগে, যখন বাবা অমরনাথজী ডাক পাঠিয়েছিলেন আমাকে।
২০১১ এর মে মাস। প্রতি বারের মতো অফিসে জানিয়েছি যে জুন কিংবা জুলাই মাসে বড়ো কোনো ট্রীপে যাবো। অফিসের আশ্বাস পেয়ে ফোন ঘোরাই পরিচিত গৌর ট্র্যাভেলের অফিসে। আগের বার ওনাদের সাথে চারধাম যাত্রা করেছি। এবার মনে বড়ো সাধ কিন্নর যাবো। ফোন ধরেন মেজ পার্টনার নির্মলদা। ‘ আরে ঋক, কি খবর?এবার কোথায় যাবে বলো? ‘ ‘ তোমাদের কিন্নর যাওয়া হবে জুন জুলাই মাসে? আমি যাবো। ‘ ‘ না, ঐ সময় তো নেই। জুলাইয়ে অমরনাথ যাত্রা আছে। চলো, ভালো লাগবে। ‘ কাশ্মীর? সে তো স্বপ্নপুরী। জম্মু অবধি যাওয়া আমার, ১৯৯৬ সালে বৈষ্ণোদেবী যাওয়ার সময়। জম্মুর এক ট্রাভেল এজেন্ট খুব চেষ্টা করেছিলেন আমাদের কাশ্মীর পাঠানোর, কিন্তু হানাহানির কথা মাথায় রেখে বাবা, জ্যেঠু কেউই রাজি হননি। পনেরো বছর পর আবার সুযোগ, একাকী আমার সামনে। কিন্তু বাড়ি থেকে কি ছাড়বে? মনটাই খুঁতখুঁতে হয়ে গেলো। নির্মলদাকে বললাম সেই কথা। উনি আশ্বাস দিলেন দরকার পড়লে আমার দাদুর সাথে কথা বলবেন। তবে আমার জেদ কিন্নর বলে বেশি চাপাচাপি করলেন না, বললেন,’ ভেবে দেখো’ ।আমি কাশ্মীর, অমরনাথজীর কথা আর বেশী ভাবিনি, বাড়িতেও কিছু বলিনি, নিজের মতো করে কিন্নর- এর প্ল্যান সাজাচ্ছিলাম।