নিয়ম,রুচি,বিধান,সমাজ,অভিধা
কখনোই নয় স্হির,চলমানতার অধ্যায় এমন
এক অবকাঠামো যা সতত বদলের
পরিক্রমণের উত্তোরণ।
উত্তোরণের মধ্য দিয়ে সৃষ্টির নান্দনিক
সৃজনশীলতার প্রকাশ । এই উত্তোরণ হয়
কখনো কারো হাত ধরে,কখনো সমাজ,
গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক বাতাবরণই তার
অনুসঙ্গ হয় আবার কখনো প্রকৃতি তার
আপন খেয়ালে চলো পাল্টাইয়ের এমন রূপ
নেয় যা পরিবেশের ভৌগলিক পরিবর্তন
ঘটায় ।
জীবনের ধারাপাত বদলানোর অভিরুচি।
সংসারে প্রবেশদ্বারে মানুষ আপন হতেই
বিভিন্ন অধ্যায়ের মধে তাকে পাল্টায় যা
শরীর ও মনের বিকাশে বেশ জরুরী। আবার
খাওয়ার আঙ্গিক ও বদলের অধ্যায়,নিয়মিত
ভাত খেতে খেতে কখনো চলো পাল্টাই
বলে পলাউ,বিরিয়ানি,ফ্রায়েড রাইসের প্রসঙ্গ
চলে আসে।
এগুলি এক একটি অধ্যায়। আর সাংস্কৃতিক
পরিমন্ডলেও চলো পাল্টাই নিয়ে কম
আন্দোলনের ইতিহাস ,শ্লীল আর অশ্লীল
একসময় পাল্টানোর খাতায় কত লাল দাগ,
আজ যা জলভাত। অধ্যায়ের পাঠ্যসূচী
তাই “চলো পাল্টাই” র ভূমিকা আবহমান
কালের স্মারক। তবে তার বড় ভূমিকা
সামাজিক পরিমন্ডল ও রাজনৈতিক
প্রেক্ষাপট যা চলো পাল্টাইকে নিয়মের
অভিধারায় চিরভাস্বর হয়ে বেঁচে থাকে যার
জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই,আন্দোলন
কর্মসূচী নির্ভর অধ্যায়ের রূপায়ন করতে
সাংগঠনিক রূপরেখা তৈরী করতে হয়।
শাসন ব্যবস্হা পরিবর্তনে ইসলাম ,মোগল
সাম্রাজ্য হয়ে ব্রিটিশরাজের অবসানই
হলো চলো পাল্টাইর অভিধারা~
বাংলাদেশের স্বাধীনতার আন্দোলনও
চলো পাল্টাইয়ের এক উজ্জ্বল নিদর্শন ।
ভারতের রাজনৈতিক পরিমন্ডল প্রতিনিয়ত
নানান অধ্যায় -চলো পাল্টাই-র পাঠক্রম
যা কখনো সফল কখনো বা বিফল কিন্তু
অধ্যায়ের পরিচ্ছদ প্রতিদিন রসদ তৈরী
করে যা কখনো ধর্মকেন্দ্রিক,কখনো বা
আখের গোছানর ধনতান্ত্রিক ব্যবস্হার বা
কখনো খেটে খাওয়া মানুষের নিরলস
সংগ্রামের ফসল তুলতে সমাজতান্ত্রিক
রূপরেখার পিছনে সক্রিয় ভূমিকা বিরাজ
করে থাকে।
নদীর জল যেমন ছুটতে থাকে নিরন্তর,
কখনো গতি পরিবর্তন করে অন্যদিকে বাঁক
নেয়,কুল ভাঙ্গে,নতুন কুল গড়ে আর এই
ভাঙ্গা গড়ার ইতিহাসই নানান অধ্যায়ের
পরিক্রমণে উত্তোরণের বাতাবরন যা
ছুটে চলেছে পরম সুখের সন্ধানে~যদিও
সবাই জানে নদীর জল সাগরে মিশে সব
একাকার মানে লীন হয়,ঐ যে রামকৃষ্ণ
বলেছিলেন না কেউ বলে ওয়াটার,কেউ
বলে জল ,কেউ বলে পাণি ,নাম আলাদা
হলেও সবই এক,তবুও সেই একের পরম
শান্তি হল বিশ্বজনীন মানবতার সার্বিক
কল্যাণসাধনে পথপরিক্রমণের নানান
ধারার অধ্যায়গুলির মধ্যে সেবার মহান
আদর্শের চলো পাল্টাই চলতেই থাকবে
সমাজ বিকাশের আসল উদ্দেশ্য সাধম
যতদিন না সার্থকতা পাচ্ছে আর তাই
আজো সবার মুখে চলো পাল্টাইর
প্রতিধ্বনির আওয়াজ সর্বত্রই সুখ ও
শান্তির জন্য চিরন্তন সজীব হয়ে বর্তমান ।