• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য

ঘুমন্ত পৃথিবী

“যারে যা চিঠি লেইখা দিলাম সোনা বন্ধুর নামে.”…
….কতক্ষণ ধরে নদীর পাড়ে বসে বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে গানটা চেবলী এক মনে গেয়েই চলেছে। চেবলী জীবনে কাজ ছাড়া কিছু ই চেনে না। ওর বহুদিনের চালের ব‍্যবসা হাটে হাটে চাল বিক্রি করে।ওর একটাই দোষ মেয়ে মানুষ তবুও পুরুষের মতো বিড়ি খায়।জব্বর নেশা।
খরা বন‍্যা শীত উৎসব মহামারী সব মাথায় নিয়ে চেবলী একা জীবনপুরের পথিক। আজ অবশ‍্য লালগোলা লোকালটা ধরেনি…
।… ও মাগী লো কাকে চিঠি ভেজলি বল বল, বলে কানের কাছে জোর চিৎকার বুলু পিসির ।চেবলী একটু চমকে উঠেছিল সামলে নিয়ে বললো কেমুন আছো পিসি? বুলু পিসি বললো ও মুখপুড়ি তর কী পিসির খপর লিবার টাইম রইছে? । ।কিন্তু মাঝে মধ‍্যে ই আজকাল চেবলী হাটে যায়না এই নিয়ে গ্রামে কানাঘুষা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছে চেবলীর নাকি বাচ্চা হয়েছে।রাত গভীরে কান্নার শব্দ শোনা গেছে। একদিন ভোর রাতে সাড়ে তিনটের সময় প্রবল দরজা ধাক্বা আর চূড়ান্ত গালাগাল খানকি মাগী রেন্ডি বিটিছেলে তর পেটের পাপ লিয়ে এক্ষুনি বিরাঙ য়া। চেবলী হুড়মুড় করে দরজা খুলে বেরিয়ে আসে।চেবলী বলে তুমরা চিৎকার করে মরছো কেনে? য়া পার করে লাও আমার মায়ের ঘরকে আমি থাইকবোই ।করুণা মাসি কষিয়ে এক থাপ্পড় মারলো চেবলীর গালে .,.
চেবলী গালে হাত দিয়ে মাটিতে বসে পড়ল।সবাই ওর ঘরে গিয়ে দেখল ছোট্ট একটি বিড়ালের বাচ্চা ওর বিছানায় নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে…শুধু পাশে একটা দুধের বোতল রাখা।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।