ক্যাফে কাব্য গুচ্ছে তীর্থঙ্কর ভট্টাচার্য

প্রকৃতি প্রাকৃত

এক

অযতনে বেড়ে ওঠা মেঠো ঘাসফুলের আঘ্রানে
যে দৃষ্টি ছুটে চলে যায়
প্রেম বয়ে আনতে পারে না?
পড়ন্ত বেলার গোধূলির রশ্মিছটা
ফিরিয়ে কি পারে না আনতে সেই আলোছায়ার জাদুকরী মায়া?
পাহাড়ের কোলের শীতে কাঁপাকাঁপা ঐ মেয়েটার
চোখের দৃষ্টি কি পারে না ছড়িয়ে দিতে উষ্ণতা?
আবরণে কেউ তাকে ঢেকে দিক-
নিবারণ হোক ক্লেশ রক্তজমা জড়তা ভেদ করে।
অকৃত্রিম আভরণে সুশোভন করে দাও তুমি কবি-
রচয়িতা ঘাসবনের গানের।
বাঁশি হাতে সুর সাথে অপেক্ষায় তোমার
মৃণ্ময় সাজে সজ্জিত দোহার।

দুই

বেলাভূমির তটরেখা বরাবর ওরা
বিভোর হয়ে হেঁটেছিল সেদিন।
কানে কানে কূজনে –
কেউ আর শোনেনি তাদের কথা
সমুদ্রের উদ্দাম বাতাস ছাড়া।
রত্নাকর প্রেমাকর রূপে দর্শন দিয়েছিলেন তখন
অশান্ত সে প্রশান্ত।
যুগে যুগের বারতা বয়ে এনেছিল সাগরপাখীরা,
আকাশে সূর্যের অকুণ্ঠ কিরণের মত
সেদিন অকৃপণ আদান প্রদানের পণ।
রেশ তার রয়ে যাবে
রোদে জলে অনুভূতি মাখা ক্ষণ।
অনুভবে মিশে রয় গভীর সমুদ্রের কল্লোল
অতল জলের ন্যায় গহন হৃদয়ের বুলি।
ধ্বনি আর প্রতিধ্বনির আলাপ চিরকালীন,
প্রত্যাশা আর প্রতীক্ষা একে অপরের।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।