• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে তনিমা হাজরা (পর্ব – ১১)

ছড়িয়ে জড়িয়ে

রবিশস্যের চাষঃ-
(১)
কাতির পূর্নিমা কর আশা,
খনা বলে -শোনো চাষা,
নির্মল মেঘে যদি বাত বয়,
রবিখন্দের সঠিক সময়,
মেঘ করে রাতে হয় যদি জল
তবে মাঠে যাওয়াই বিফল।

(২)
ভাদ্রের চারি আশ্বিনের চারি,
কলাই রুইবি যত পারি।

কলাই জাতীয় শস্য রোপনের উপযুক্ত সময় হচ্ছে ভাদ্র মাসের প্রথম চারদিন এবং আশ্বিন মাসের প্রথম চারদিন।

(৩)
আশ্বিনের উনিশ, কার্তিকের উনিশ
বাদ দিয়ে যত মটর বুনিস।

আশ্বিনের শেষ উনিশ দিন এবং কার্তিকের প্রথম উনিশ দিন মটর চাষের উপযুক্ত সময়।

(৪)
রাইসরিষা বনে মাষকলাই, মুগ
বুনে চাষার ভরে বুক।

এবার আসছে একই জমিতে একসাথে দুই প্রকার ফসলের কথায়, রাইসরিষার চারা একটু দুরত্ব রেখে বুনতে হয়, সুতরাং মাঝখানে জমিতে ফাঁক থাকে। সেখানে এক সাথে মাষকলাই ও মুগ চাষ করা যেতে পারে।

(৫)
ফাগুনের আট, চৈত্রের আট,
সেই তিল দায়ে কাট।

ফাগুনের শেষ আট আর চৈত্রের প্রথম আট দিন তিল চাষের উপযুক্ত।

(৬)
কোদালে মান,
তিলে হাল

মানকচুর জমি কোদাল দিয়ে কোপাতে হবে, তিল চাষের জমি হাল দিয়ে চষতে হবে।

(৭)
জেনে রাখ রে তিলের চাল,
কাতিকে ফাকার, মাঘে কাল

কার্তিক মাসে সাদা তিল এবং মাঘ মাসে কালো তিলের চাষ করতে হবে।

(৮)
খনা বলে – চাষার পো
শরত শেষে সরিষা রো,
যদি থাকে টাকা করবার গোঁ,
চৈত্র মাসে ভুট্টা রো।

(৯)
ঘন সরিষা, পাতলা রাই,
লেঙ্গে লেঙ্গে কাপাস বাই,
কাপাস বলে, কোষ্টা ভাই,
জ্ঞাতি পানি না যেন পাই।
এমন বুনিবে শণ
যেন না ঢোকে বাতাস।
সরিষা ঘন করে এবং রাইসরিষা দূরত্ব রেখে বুনতে হয়, কাপাস গাছ লাফ দেওয়া দুরত্বে বুনতে হবে। দেখতে হবে আশেপাশে যেন কোষ্টা বা পাটের ক্ষেত না থাকে। পাটের জল কাপাস তুলার চাষ নষ্ট করে দেয়।
শণ গাছ অতি নিকটে একেবারে এমন গায়ে বুনতে হবে যেন বাতাস অব্দ ঢুকতে না পারে কারণ এর কাণ্ড অতি নরম।
(১০)
আউশের ভুঁই বেলে
পাটের ভুঁই আটালে,
কাটিবে কাপাস তুলা
পাকিয়া না ফাটিলে।
(১১)
রোদে ধান, ছায়ে পান
খনা ডেকে বলে যান।
(১২)
যদি পান পোঁত শ্রাবণে,
খেয়ে না ফুরাতে পারে রাবণে,
ধান চাষ এক আঘনের,
পান চাষ তিন শ্রাবণের।

চলবে

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।