এই কবিতার মধ্যে
একটা জীবন্ত নদী ছিলো ;
বিরতি ছিলো ; আর\
রাজার মতো গান গাওয়া
দেউলিয়া মাঝির
হাল ছেড়ে দাবানলে ঢুকে যাবার
গল্প ছিলো
একটা বিচ্ছিন্ন গাছ
শ্রাবণের পৃষ্ঠা উলটে উলটে
নদী চুরি যাওয়ার সেই রহস্য
খুলে খুলে
ভবা পাগলার গান খোঁজে
ছপছপ… ছপছপ…
রোদের ডানা
দুটি সময়ের মধ্যবর্তী সংকেত সমূহ
আমাকে বাজায়
সমস্ত দূরত্ব জুড়ে আলোছায়ার কারুকাজ
বিন্দু বিন্দু রঙ,
অনুবাদহীন পান্ডুলিপির
অভিমানি দাগ…
ঝুরঝুর ভেঙে পড়ার আগে
ওই তো
আমি পুড়ে যাচ্ছি অবৈধ চিতায় . ..
চলো ধরিত্রী! মেয়ে দুটোকে গুছিয়ে নাও
ক’টা দিন কাটিয়ে আসি
অনভ্যস্ত জীবন
রিকশা… রিকশা …
হে নিখিল
হাঁটতে হাঁটতে ছায়া বদলে যায়
যেমন মেহফিলের ঢঙে ভেসে যায় সরগম,
নতুন নতুন রাঝকীয় স্বপ্নের
অনিবার্য বিলম্বিত লয় – তাল,
আলাপের অভ্যাস,
জীবন, ধ্রুবরাশি সংক্রান্ত নাটক
আর, সুখে ও শোকে
মানচিত্রের খসে পড়া নদী থেকে
ভেসে ওঠা
তুড়তুড়ি নদীর জীবাশ্ম. ..
লীলাছলে
হে নিখিল
দোজখের কথা
ঠিকানা
চৌত্রিশ নং জাতীয় সড়ক ধরে
এগিয়ে আসা একটা মেলামেশার
কথা হচ্ছিলো ;
বেশ পুরোনো এবং সামান্য অতীতের কথা
আসতেই মনে হলো
আজও তারা ছড়া কবিতা
বা গান থেকে বেরিয়ে
গল্প বা উপন্যানে ঢোকেনি,
যদিও তাদের সকলেই এক – আধ মিনিটের
টক -টাইমের হাই হ্যালোতে আটকে নেই ;
কিংবা ঝগড়া, ভাঙন বা
কথা কাটাকাটির কাঁটার মধ্যেও পড়ে না,
তবু প্রথম একটা বড় গল্পের সন্ধানে
সঞ্জুকে ডেকে জিঞ্জেস করি
মিতুলের মেজদার মেল – আইডিটা জানিস?