প্রচণ্ড নিঃশব্দ রাত
ঝিঁঝিঁরাও বোধহয় কোয়ারেন্টিনে!
নিশুতিরও নিজস্ব একটা আলো আছে
সেই আলোতেই পৃথিবী পথ খুঁজছে
যা শেষ হবে সূর্যে এবং চাঁদে।
ইতিহাস এর সাক্ষী।
পৃথিবীর কিছু জঞ্জাল পুড়ছে
আরো কিছু জঞ্জাল
পৃথিবী পোড়াবে আরো কিছু সময় ধরে।
আকাশ-গঙ্গা থেকে গঙ্গা …
সময় তো লাগবেই। কম জমা করেছি!
ঝিঁঝিঁরাও জেনে গেছে নিশ্চিৎ!
পথ-বাতিগুলো নিরলস ভাবে জ্বলে চলেছে
এতদিন এগুলোকে লক্ষ করা হয়নি।
আজ যেন খুব উজ্জ্বল।
রোগীরা আর কোয়ারেন্টিনবাসীরা
খুব আশায় তাকিয়ে রয়েছে বাতিগুলোর দিকে।
ওই বাতিগুলোই কাউকে কাউকে
পৌঁছে দিচ্ছে সূর্যে চাঁদে।
বাকিরাও একই স্বপ্নে তাকিয়ে আছে
বাতিগুলোর দিকে মুখ করে নিথর চোখে।
বাতিগুলোর চেষ্টার কোনো খামতি নেই
ছিলও না কখনো।
অনেকে সূর্য চাঁদের স্বপ্নটাই হয়তো দেখতে পারেনি
চলে গেছে জীবনের ওপারে মহাকাশের কৃষ্ণগহ্বরে!
সাহস করে স্বপ্নটা দেখতে না জানলে
বাতিগুলোর দোষ কী!
ভাঙাবাতির জায়গায় নূতন বাতি একই কাজ করে
এই রকমই হয়ে এসেছে ইতিহাসের পরতে পরতে!
ওদেরকে কাজ করতে হয়, কাজ করতেই হয়
যুগে যুগে সূর্য চাঁদ এভাবেই ধরা পরেছে পৌনপৌনিক ভাবে!
এখন আমাদের একটাই কাজ
বাতিগুলোকে রক্ষা করে, জ্বলতে দেওয়া।
সজাগ ভাবে ঠুনকো বীরগুলোকে
অন্তর্বেদনার পথ দেখিয়ে দেওয়া।
আর অপেক্ষা করে নিথর ভাবে
আত্মবিশ্বাসে বাতিগুলোকে শক্তির যোগান দেওয়া!