• Uncategorized
  • 0

গদ্যকবিতায় নিবেদিতা

নদীর মতো মেয়ে

কথায় বলে , নদীর নামে নাম রাখতে নেই, কপালে দুঃখু জমা হয়। কিন্তু প্রতিটা মেয়ের জীবনেই থাকে একটা নদী। নদীর মতো অনেক নাম, অনেক শাখা প্রশাখা, থাকে একটা মোহনাও। একটা সময়, যখন সে খরস্রোতা, বিদ্যুৎ খেলে তার বুকে, আছড়ে ভাঙতে পারে সে পাহাড়-হৃদয়ও। একটা আস্ত মেঘ ভাঙা বৃষ্টিও সে তার শরীরে ধারণ করতে পারে। তখন সে জানে টানতে আর ভাঙতে।
তারপর কোন ভাঙনের পথে হেঁটে সে নামে সমতলে। তার ধারক যখন নিস্তরঙ্গ, তখন তাকেও গতিতে রাশ টানতেই হয়। একটা , দুটো, তিনটে করে তাকে ঘিরে তৈরি হয় ঘর। ভার বাড়ে, বাড়ে নির্ভরশীল মুখ ও। যখন তার তল পাওয়া সহজ, বাঁধ দেওয়াও। সে নদী মা হয়, প্রেমিকা নয়। সে নদী কষ্ট হলেও, বয়ে নিয়ে চলে।
তবু সব নদীই একটা মোহনা চায়। দিনের শেষে একটা বুক চায়, যেখানে সব ভার টুকু ছেড়ে হারিয়ে যাওয়া যায়। মিলে মিশে একাকার হওয়া যায় অস্তিত্ব সংকট ছাড়াই। ঝরঝর, কুলকুলের পর একটা নৈশব্দের মিলন।
আবার কেউ কেউ ফল্গুই থেকে যায় জীবনভর।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।