এমনো দেখা যাচ্ছে একজন লেখক একটি সংখ্যায় গল্প উপন্যাস কবিতা লিখছেন।সে উপন্যাস কেমন আমি বলতে পারবো না।আমি পড়ি না।অনেকে বলে কিছু হচ্ছে না।তবু লিখছে।
কেন?
ঐ যে সে কবি হিসেবে খ্যাতি কিনেছে।এখন সে যা লিখবে তা পাঠক খাবে।
তবে কবিরা যে গল্প উপন্যাস লিখতে পারে না তাই কিন্তু নয়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তো গল্প উপন্যাস লিখতেন। খুব ভালো লিখতেন।
তিনি ছিলেন সব্যসাচী।এখন কিছু কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হতে চাইছেন। কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যে একজন ই ছিলেন।আর কেউ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হতে পারবে না।
যাক এসব আলোচনা।তুই আমার ঠিকানা পেলি কী করে?
আমাদের পাড়ায় রতন থাকে। তোদের কোম্পানি র বড় এজেন্ট।আমাকে একটা পলীসি করিয়েছে।ওকে বললাম তোমাদের রিজিওনাল অফিসটা কোথায়।ও ঠিকানা দিয়ে দিল।
তাই কি খাবি বল? চা না কফি?
কিছু খাবো না। গ্যাস্ট্রিক প্রবলেম আছে।
তুই তো লেখা ছাড়া আর কিছু করিস না। তোর সংসার চলছে কি ভাবে?
সংসার! আমার আবার সংসার কোথায়?।
কেন বিয়ে করিস নি?
না।
একা?!
হ্যাঁ।
সেই হালিশহরে ই আছিস? একবার বন্ধরা গিয়ে ছিলাম তোর বাড়ি। তোর বাবা পুকুরে র মাছ ধরে খাইয়ে ছিল।তোর মা’র হাতের রান্না কি অপূর্ব স্বাদ!ভোলা যায় না।
এবার একদিন আয়।
এখন!টাইট পোগাম। কিন্তু একা মানুষের তো খরচ আছে?
সে তো আছেই।
তাহলে চলছে কী করে?
কেন? আমার ব ই তো আছে।আমি নিজে আমার ব ই বেচি।
কোথায়?
স্টেশনে স্টেশনে।কখনো বাসে ব ই মেলায়।
ব ই বিক্রী হয়?
কেন হবে না? তুই তো বললি আমি ভালো লিখি!
হ্যাঁ।তা অবশ্য ঠিক। কিন্তু?
কিন্তু কি বল?
বিয়ে করলি না কেন?
মনের মতো কাউকে পেলাম না যে।সবাই মেটিযালিসটিক। গল্প উপন্যাস ক জন ভালো বাসে বল?বিয়ের পর অশান্তি ডিভোর্স এসব ঝামেলায় কেন যাবো?