ওর কথা শুনে আমরা হৈ হৈ করে উঠলাম।প্রবাল মুখটা ব্যাজার করে বসে আছে।
বললাম,‘মুখটাকে ওই রকম করে রেখেছিস কেন?’
‘চারিদিকে যা হচ্ছে তাতে বিয়ে করতে ভয়ই করছে।’
‘আরে তর ভয় নাই।পাড়ায় আমরা আছি না।বউয়ের প্রেমিক নাটক শুরু হইলে ঠেঙাইয়া হেইডার পা ভাইঙা দিমু।ও নিয়া ভাবিস না।তবে অন্য অনেক ভয়ের বিষয় আছে হেইয়া নিয়া আমাগো কিছু করার নাই।’
‘সে আবার কি?’ভয় ভয় চোখ করে তাকাল প্রবাল।
‘ধর বিয়া হইলে যদি তর মায় ভাবে বউ আইয়া পোলাডারে পর কইরা দিল।তাইলে সংসারে নিত্য অশান্তি।দেহস না সিরিয়ালে দেহায় একটা অন্য বাড়ির মাইয়ার জীবন কেমন অতিষ্ঠ কইরা তোলতাছে বাড়ির লোকেরা।হ্যাগো সমস্যা হয়ত সিরিয়াল শ্যাষ হইলে মেটবে,কিন্তু আমাগো পাড়ায় পাড়ায় পরিবারের সমস্যা না মরা পর্যন্ত মেটবে না।তারপর ঘরে ঘরে যত বুইনেরা,হেরা তো রায় বাঘিনী হইয়া আছে।পোলাগুলানের অবস্থা হয় পিং পং বলের মতো।এইদিকে গেলে মাইর,আবার অন্যদিকেও মাইর।
প্রবাল বলল,‘তাহলে বিয়ে করাটা তো খুব বিপদের হল।এতদিন বেশ ছিলাম।’
‘অত ঘাবড়াইলে চলে?এইডাই জীবন।ফুটবল খেলায় দেহস না বল নিয়া এরে ওরে কাটাইয়াই গোল দেতে হয়।ওইরকম আজীবন কায়দা কইরা যাইতে হইবে।না পারলে ভালো খেলোয়াড় হইয়া বাঁইচা থাহার উপায় নাই।
প্রবাল বলল,‘গুলেদা সবাই আমার বিয়েতে যাবে তো? পাশে থেক।’
‘যামু না ক্যান।আমি তর দাদার মতো।অরা হগলডি তর বন্ধু।হগলডিরই উচিত তর পাশে থাহা।তর এমন বিপদের দিনে।’