দশমাস দশদিন গর্ভে ধারণ করবার পর,
এই পৃথিবীর বুকে নেমে এল তোমার সন্তান,
প্রথম সূর্যের কিরণ স্পর্শ করেছিল তাকে,
স্নিগ্ধ হয়েছিল তার অস্তিত্ব!
ধীরে ধীরে তোমারই হাত ধরে,
বেড়ে উঠল খোকা!
তোমাকে ঘিরেই তৈরী হতে লাগল তার জগৎ,
বাল্যকাল পেরিয়ে, কৈশোরের গন্ডী পেরিয়ে,
সে আজ পূর্ণ যুবক।
চোখে হাজারও স্বপ্ন,
এক নতুন পথ চলা,
কাঁটা সমৃদ্ধ পথেও সেদিন,
তোমারই আশীর্বাদ হয়ে উঠেছিল-
তার পরম আশ্রয়!
দিন কাটতে থাকে আপন খেয়ালে,
তোমার খোকা আজ সংসারী,
আর তুমি?
বঞ্চিত!
তোমারই অংশ তিরষ্কার করে তোমায়,
অস্বীকার করে তোমার অবদান,
এক ধৃষ্টতা!
এক বিন্দু অশ্রু সিক্ত করে তোমার বসন,
ক্ষতবিক্ষত করে তোমার হৃদয়!
তবু সন্তানের মঙ্গল কামনায়,
চিরব্রতী তুমি!
জননী তুমি!
ঈশ্বরের কাছে বারংবার প্রশ্ন করেছ তুমি,
তারই অংশ হয়ে,
কেন তবু এই লাঞ্ছনা?
দৈব ইঙ্গিত বারে বারে বুঝিয়েছে,
যুগে যুগে জননীরাই লাঞ্ছিত,
নিপীড়িত প্রতি ক্ষণে!
তবুও মাতৃত্ব বর্জন করনি তুমি,
পরিহার করনি আপন সন্তানকে।
চিরতরে তারই শুভ কামনায়,
উৎসর্গ করেছ নিজেকে!
নারী তুমি,
জননী তুমি,
জগৎ জননী তুমি!!