গল্পে প্রবাহনীল দাস

আগন্তুক

সবে ভাত খেয়ে একটা গল্পের বই খুলে বসেছি, হঠাৎ কী মনে হল দেওয়ালের দিকে তাকালাম। দক্ষিণের জানালা থেকে রোদ এসে পড়ছে বলে দেওয়ালটা আলো হয়ে গেছে। এমন সময় দেখলাম দেওয়ালের উপর ফুটে উঠছে দুটো চোখ, ঠোঁট, কান ও অবশেষে গোটা মুখ। আমার বিস্ময় কাটার আগেই ছায়ামূর্তিটি বলে উঠলো, “অবাক হলে নাকি?” তারপর দেওয়াল থেকে নেমে এসে সে বসলো বিছানায়।
আমি একটু প্রকৃতিস্থ হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি কি কোন প্রাণী না ভূত?” সে আমার ভাষাতেই বলল, “ভয় নেই। আসলে আমি, তোমরা যাকে বলো রোহিণী, সেই নক্ষত্রের এক গ্রহ থেকে আসছি। এমনিতে শরীরের কোনো প্রয়োজন হয়না। তোমরা যেমন জ্বালানীতে রকেট চালিয়ে মহাকাশে যাও, আমাদের লাগে একটা শরীর, আর ইচ্ছাশক্তি। কিন্তু পৃথিবীতে এসে আমার শরীরটি খোয়া গেছে। তুমি কি কোন সাহায্য পারো?
অনেক ভেবে বললাম, “আমার কাছে একটা পুরনো টেডি ভল্লুক আছে। তুমি কী সেটা ব্যাবহার করতে পারবে?” সে বলল, “আলবাত পারব। দাওই না।” সেটা আনতেই ছায়ামূর্তিটি তাতে ঢুকে পড়ল, ও রওনা হল তার আজব গ্রহে, যেখানে বাস করে শরীরবিহীন বাসিন্দারা।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।