Mon 20 October 2025
Cluster Coding Blog

গারো পাহাড়ের গদ্যে এস এম শাহনূর (পর্ব - ৬)

maro news
গারো পাহাড়ের গদ্যে এস এম শাহনূর (পর্ব - ৬)

মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য: কীর্তিমানের মৃত্যু নেই

➤অমর কীর্তি: পিতৃদেব ঈশ্বর দাসের পুণ্যস্মৃতি ও মাতৃদেবী রামমালার পুন্যস্মৃতি সংরক্ষণকল্পে মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য কুমিল্লায় বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। মহেশ চন্দ্রের শেষ ভাব শিষ্য আদর্শ শিক্ষক ইন্দ্র কুমার সিংহ সব মিলিয়ে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের নাম লিখে গেছেন।তৎকালীন সময়ে জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সমমান এত গুলো প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করে নিজের ধন সম্পত্তি দিয়ে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সুন্দর ভাবে পরিচালিত করে গেছেন যা ভাবলে আজ ও হৃদয়ে বিস্ময় জাগে।

(১) ঈশ্বর পাঠশালা টোল ও টোল বোর্ডিং ,প্রতিষ্ঠিত – ১৯১২সালে। (২) ঈশ্বর পাঠশালা স্কুল ও রীচ হোস্টেল, প্রতিষ্ঠিত ১৯১৪ সালে । (৩) রামমালা ছাত্রাবাস,(শাকতলাতে ২৪ একর জমির উপর) প্রতিষ্ঠিত ১৯১৬ সালে। (৪) রামমালা গ্রন্থাগার, প্রতিষ্ঠিত ১৯১২ সালে। (৫) রামমালা জাদুঘর । (৬) রামমালা রোড, (রাণীর বাজার থেকে শাকতলা পর্যন্ত )১৯৩৫ ( ৭) রামমালা পোস্ট অফিস ।১৯৩৫ (৮) নিবেদিতা ছাত্রীনিবাস, প্রতিষ্ঠিত – ১৯১৯ সালে। (৯) নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয় (ছয় ক্লাস পর্যন্ত )১৯১৯ সালে। (১০) এম,ভট্টাচার্য এন্ড কোং , মহেশাঙ্গন, কুমিল্লার হোমিও ঔষধের দোকান। (১১) বৈদিক ঔষধালয় । (১২) কাশী হরসুন্দরী ধর্মশালা, কাশী, ইউ, পি, ভারত। (১৩) ঈশ্বর পাঠশালা ব্যায়ামাগার। (১৪) মন্দির, প্রতিষ্ঠিত – ১৯১৭ সালে । (১৫) নাট মন্দির, প্রতিষ্ঠিত -১৯২৫ সালে।

কসবা বিজনী নদীর উপর লোহার পুল। কাইতলা থেকে কুড়িঘর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ কিঃ মিঃ মহেশ রোড। বিটঘর রাধানাথ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সিংহভাগ আর্থিক অনুদান। বিটঘরে বালিকা বিদ্যালয়(দক্ষ পরিচালনার অভাবে অঙ্কুরেই বিলুপ্তি হয়) মহেশ রোড থেকে বিটঘর বাজার পর্যন্ত সংযোগ রাস্তা। কাইতলা যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সিংহভাগ সহযোগিতা। ফতেহপুর কে কে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আর্থিক অনুদান। চট্টগ্রামে সীতাকুন্ডে গিরিশ ধর্মশালা ও সেবা আশ্রম প্রতিষ্ঠা। কলিকাতায় সেবা আশ্রম কুমিল্লার ব্রাহ্মধর্মাবলম্বীদের পত্রিকা ‘ত্রিপুরা হিতৈষী’ জন্য তাৎক্ষণিক আর্থিক সহযোগিতায়। তীর্থস্থান কাশীতে রামমালা ধর্মশালা, হরসুন্দরী ধর্মশালা, বারানসীতে তার সহধর্মিণী হরসুন্দরী দেবীর নামে একটি ধর্মশালা। গয়ায় ভারত সেবাশ্রমের জন্য জমি কিনে দান করে ধর্মানুরাগের এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। গরিবদের বিনা অর্থে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা শহরে প্রতিষ্ঠা করেন হোমিওপ্যাথিক ও আয়ূর্বেদ চিকিৎসা কেন্দ্র। তাঁর নিজ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন শিক্ষা সংসদ। তিনি কাশীধামে প্রতিষ্ঠা করেন ঈশ্বর পাঠশালা টোল। গ্রামের লোকের পানীয় জলের অভাব দূরীকরণের জন্য প্রায় ৫০ বছর পূর্বে তাঁর নিজ গ্রামে একটি পুকুর খনন করেন এবং জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেরই এখান থেকে পানীয় জল নেওয়ার অনুমতি ছিল। তীর্থ-ভ্রমণের সময় এক পর্যায়ে বৈদ্যনাথে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে তিনি দরিদ্র লোকদের সাহায্য করেন। তিনি এ সময় প্রতিদিন ৪০০/৫০০ জন মানুষকে খাওয়াতেন। ১৯৩৫ সালে তিনি কালীঘাটে যাত্রীদের সুবিধার্থে একুশ নম্বর টালিগঞ্জে কালীঘাট যাত্রীনিবাস নির্মাণ করেন। উল্লেখ্য যে, এ যাত্রী নিবাসে যাত্রীরা ৪/৫ দিন বিনা ভাড়ায় থাকতে পারত। আরো অজানা অসংখ্য কাজ করে গেছেন।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register