Thu 30 October 2025
Cluster Coding Blog

সম্পাদকীয়

maro news
সম্পাদকীয়

সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও স্নেহ এগুলো তৈরি হয় একে অপরের প্রতি মান্যতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। বড়, ছোট, মাঝারি, সমগোত্রীয়- এই বিভেদকে আমরা আজও মানি। কিন্তু বয়সের দিক থেকে মানতে নারাজ। একটা সময় ছিল তখন বয়সে একদিনেরও বড় ব্যক্তিকে সম্মান দেখানো হত, গুরুত্ব দেওয়া হত। কিন্তু ২০২৩ সালে এসে পেছনে একটিবার তাকালে বোঝা যায় আমরা অমান্যতার দিক দিয়ে পাহাড় ছুঁয়ে ফেলেছি। রাস্তা ঘাটে মুরুব্বিদের দেখে আজকের যুবসমাজ ডোন্ট কেয়ার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করে। কিন্তু আজ থেকে পনের কুড়ি বছর পেছনে গেলে দেখা যাবে চিত্রটা ঠিক উলটো।

কেউ বসে আছে এমন সময় তার চেয়ে বয়সে বড় কেউ সেখানে গেলে বয়সে কনিষ্ঠ ব্যক্তিটি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াত। মুরুব্বির মুখে মুখে তর্ক করা যেত না। তাকে দেখে সিগারেট লুকানো হত। শিক্ষকের চলার পথে ছাত্র মুখোমুখি হয়ে গেলে যানবাহন থেকে নেমে শিক্ষককে নমস্কার করত। কিন্তু আজ তা যেন জাদুঘরে রাখা কোনো দুস্পাপ্য জিনিসের মতো হয়ে গেছে। এখন সবাই সমান। এখন প্রচারিত হয়েছে সম্মান দিলে তবেই সম্মান পাওয়া যায়। কিন্তু বাস্তবে কী তাই? সম্মান কী শুধুই আদানপ্রদানের বিষয় নাকি সংস্কারের বিষয়। সমাজ থেকে কী সেই সংস্কার উঠে যাচ্ছে না? নিজেই নিজেদের উত্তর দিন।

কিন্তু এই বিরাট পরিবর্তনের জন্য কী কেবল যুবসমাজই দায়ি? না তা নয়। মুরুব্বিরাও দায়ি আছেন। তারা সমাজের ওপর থেকে নিজেদের হাত গুটিয়ে নিয়েছেন। তারা বয়ঃজ্যোষ্ঠ হওয়ার সুবিধা তুলেছেন। ক্ষমতা দেখিয়েছেন কনিষ্ঠদের ওপর। যার ফল ভুগতে হচ্ছে আজকের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবাইকেই। অবক্ষয় কেবল একটিমাত্র কারণে হয় না, একাধিক কারণই দায়ি হয়। আজ সেই অবক্ষয়ের দিন।

হৃদয় মালাকার

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register