Thu 06 November 2025
Cluster Coding Blog

|| কালির আঁচড় পাতা ভরে কালী মেয়ে এলো ঘরে || T3 26য় সুজিত চট্টোপাধ্যায়

maro news
|| কালির আঁচড় পাতা ভরে কালী মেয়ে এলো ঘরে || T3 26য় সুজিত চট্টোপাধ্যায়

দেবী দর্শন

ভক্তি নয় , ভ্রমণ বড্ড টানে। সেই টানে গেলাম তারাপীঠ, সবান্ধব। ভক্তি সামান্য যেটুকু ছিল, পান্ডাদের তান্ডবে সেটুকুও হাওয়া। প্রতিবাদে শপথ নিলাম, কিছুতেই দেবীদর্শন করবো না। মন্দিরে ঢুকবোই না।
বাকিরা গেল পূণ্য অর্জনে। বললাম যাও, হোটেলে দেখা হবে।
মন্দির ছাড়াও আরও কিছু দেখতে আপত্তি নেই। দ্বারকা নদী , শ্মশান , সাধুদের আখড়া, বামাক্ষ্যাপার সাধন স্থান। ঘোরাঘুরি করতে করতে মনে হলো
ক্ষিধে ক্ষিধে পাচ্ছে।
পাবেই তো। সামনেই তেলেভাজার দোকান। গরম আলুর চপ, বেগুনি ভাজার লোভনীয় গন্ধ বাতাসে ম ম করছে।
পুজো দেওয়ার বাসনায় সকাল থেকে উপোস চলছে। সে বাসনা ভাসান গেছে অনেক আগেই। সুতরাং , চালাও মুড়ি তেলেভাজা। খাঁটি বাঙালীর মনোলোভা খাদ্য ।

দাওতো ভাই দুটো চপ আর মুড়ি।

তুই একাই খাবি, আমায় দে।

আওয়াজ শুনে তাকিয়ে দেখি, বছর দশেকের একটি বালিকা। ময়লা জামা, খালি পা, মাথায় একডাল কালো কুচকুচে চুল। চকচকে চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
বললাম, কেন, খা না। দাওতো ভাই এক ঠোঙা মুড়ি।

শুধু মুড়ি ?

আবদার বোঝো। ঠিক আছে দুটো বেগুনিও দিও।
দিলাম তুলে হাতে। একগাল হাসি। ঝাঁকড়া চুলের মাথা একপাশে হেলিয়ে সেই মায়াময় পবিত্র হাসি দেখে
দেবীদর্শন না করার শপথ চুরমার হয়ে গেল।
এই দেবী, মন্দিরে থাকে না । কোথায় থাকে কেউ জানেনা। শুনেছি সর্বত্র থাকে।

পরের দিন চলে আসার আগে , চেষ্টা করেছিলাম আবারও দেবীদর্শনের। হয়নি। বুঝলাম দেবীদর্শন সহজ নয়।
এখন বড্ড ভাগ্য মানতে ইচ্ছে করছে।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register