Wed 22 October 2025
Cluster Coding Blog

ছোটদের জন্যে বড়দের লেখায় A.F.M Shebgatulla (পর্ব - ৯)

maro news
ছোটদের জন্যে বড়দের লেখায় A.F.M Shebgatulla (পর্ব - ৯)

সাবির সুবীর আর মাতলা নদী

পর্ব - ৯

আগ্নেয়াস্ত্র লড়াইকে জিতিয়ে দেয়। ডাকাত দল সেই সুবিধাটা যেনো পেয়ে গেলো। ফায়ার পয়েন্টের সামনে রেখে ওদের চার জনকে হাতের সমস্ত কিছু ফেলে রেখে এক জায়গায় জড়ো হতে বললো। সাবির সুবীর, টিংকু মামা আর পাহারাদার আরো বিপদের মধ্যে যেনো পড়ে গেলো। নিরুপায় হয়ে ওরা এক জায়গায় জড়ো হলো। ওদের চার জনকে এক সাথে আস্টে পিস্টে বাঁধা হলো সেই ঢিবি টার কাছেই।
এদিকে মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেংগে গেল ওদের ফুলবাড়ীর আত্মীয়র। হোয়াটস অ্যাপে দেখলো টিংকু মামার ভয়েস আছে শুনে ত আঁতকে উঠলো। আত্মীয়রা চিন্তিত হয়ে গেলো। ফোনে দেখলো একাধিক মিসড কল আছে। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করলো। কিন্তু কোনো উত্তর এলো না।
আত্মীয়রা গ্রামের লোকজন নিয়ে ছুটলো ফিশারির দিকে এদিকে ফিশারির মালিকের ছেলেকেও খবরটা দেওয়া হলো। তবে ওদের ঠিক কি হয়েছে এরা কেউ কিন্তু কিছুই জানেনা। তবে আত্মীয়রা সব্বাই উদ্বিংনো। মালিকের ছেলেও দলবল নিয়ে ফিশারির পথে রওনা দিলো।
ফিশারির কাছে আসতেই দেখলো একজন ইঞ্জিন ভ্যানে বসে! বিড়ি খাচ্ছিল! দেখেই ওদের ফুলবাড়ীর আত্মীয়রা আর মালিকের ছেলের লোকজন সন্দেহ জনক ভেবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলো। ডাকাত টা তো কিছুই বলতে চাইছে না। তার পরে তাকে ভয় দেখিয়ে সবাই আশপাশের দোকানপাটের সামনে নিয়ে গেলো। এবার সে মারধর খাওয়াতে স্বীকার করলো। তারা এই সামনের ফিশারিতে রাতের অন্ধকারে মাছ চুরি করতে এসেছে!
এইদিকে ডাকাত দল পকেট সার্চ করে জানতে পারলো টিংকু মামার পকেটে মোবাইল আছে। ঘন ঘন ফোন আসছে বোঝা যাচ্ছে। এরকমই একটা ফোন রিসিভ করলো এক ডাকাত। তাতে এক আত্মীয় জানাচ্ছে " হোয়াটস অ্যাপ কলে জানতে পারলাম তোমরা বিপদের মধ্যে আছো?" ফোন কেটে দিয়ে এক ডাকাত টিংকু মামার গলা টিপে ধরলো! টিংকু মামা কাতরাতে থাকলো। এই দেখে সাবির সুবীর আপ্রাণ চেষ্টা করলো বাঁধন খুলতে! অবশেষে সুবীর বাঁধন খুলে ঝাঁপিয়ে পড়লো সেই ডাকাত টার উপর। না হলে টিনকু মামা হয়তো শ্বাস রোধ হয়ে মারাই যেত! সাবির ও বাঁধন ছাড়াতে পারলো শুরু হলো তুমুল মারপিট।এখন বাঁচা মরার লড়াই। এক ডাকাত শূন্যের দিকে ফায়ার করলো!
এদিকে, ওদের আত্মীয় আর গ্রামের লোকেরা গুলির আওয়াজ শুনতে পেলো। ওদের মনে হলো ফিশারির থেকে ওটা শোনা গেলো তবে ইঞ্জিন ভ্যানের ডাকাত টা ঠিক কথাই বলে ফেলেছে। ওকে বেঁধে রাখা হলো। ক এক জন ওখানেই থাকলো । আর বাকি লোক জন ছুটলো ফিশারির দিকে। প্রথমে গ্রামের আত্মীয় আর মালিকের লোকজন কুটিরের কাছে গেলো , কাউকেই দেখতে পেলনা! ওরা ঢিবিটার ওপাশে কি একটা মানুষের কথা বার্তা যেনো শুনতে পাচ্ছে। আত্মীয় আর লোকজন ঠিক করলো ক একটা দলে ভাগ হয়ে ওখানে যেতে! ঢিবিটার ওধারে গ্রামের লোকজন যেতে চায়না। কিন্তু কিন্তু করেই ওরা ওদিকে গেলো।অবশ্য, মালিকের ছেলের কথায় ওদিকে লোকজন যেতে চাইলো। ঢিবিটার ওধারে যেতেই মুখোমুখি ডাকাত দলের লোকজনের সথে দেখা ! ডাকাত রা এবার বন্দুক বের করতেই মালিকের ছেলে শূন্যে ফায়ার করলো! ডাকাত দলের সব্বাই থতমত খেয়ে গেল। সাবির সুবীর, টিংকু মামা কে ছেড়ে যেজার মতন দৌড় দিতে লাগলো! পিছনে পিছনে চিৎকার করতে করতে লোকজন ছুটতে লাগলো। ডাকাত রা প্রাণ পনে দৌড়চ্ছে! পিছনের লোকজন যেনো ধরতে পারছে না। এদিকে এক ডাকাত দৌড়তে দৌড়তে পাড়ে এসে দেখে পুরো আমঝাড়ার গ্রামের বাড়ির মেয়ে ,বউ , বুড়ো, যুবক সবাই লাঠি ঝাঁটা হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ডাকাত টা ধরা পড়েছে। অন্য এক ডাকাত পাড়ের মুখে গ্রাম বাসিকে দেখেই জলে ঝাঁপ দিয়েছিল। গ্রামের ক একজন সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপ দিয়েই তাকে ধরলো !

চলবে

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register