Sun 26 October 2025
Cluster Coding Blog

ক্যাফে অনুবাদ গল্পে বেবী কারফরমা

maro news
ক্যাফে অনুবাদ গল্পে বেবী কারফরমা

সিক্রেট পার্টনার

মিনু খরে (লখনৌ)

শিশু কাউন্সিলার চিত্রা খুব আপসেড ছিল । তার কারণ এই নয় যে একটা দশ বছরের বাচ্চা তার নিজের বাড়িতেই রোজ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয় কিংবা এক মদ্যপ বাবা তার নিজের মেয়েকেই বেশ্যাবৃত্তি করতে বাধ্য করছে। এই রকম ঘটনা সে আগে দেখেছে কিন্তু এই ব্যাপারটা অন্যান্য ঘটনাকে ঝাঁপিয়ে গেছে। এই বাচ্চার তো এটাও জানেনা যে তার সাথে যেটা হচ্ছে সেটা খুব অন্যায়। সে ভেবে নিয়েছে যে এইভাবেই বোধহয় পরিবারকে সাহায্য করতে হয়। রোজের শারীরিক নির্যাতনের ফলে বাচ্চাটা অসুস্থ হয়ে বিছানা নিয়ে নিয়েও চিন্তান্বিত যে সে তার পরিবারের কোন উপকারে আসতে পারছে না।

ঘটনাটা চিত্রাকে ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে। নিজেকে একটু সহজ করতে সে তার ক্লিনিক পার্টনারের সাথে ফোনে কথা বলছিল- “বাচ্চা মেয়েটা রেসকিউ হোমে যেতেই চাইছিল না। ওর ইচ্ছা ছিল যে বাড়িতে থেকেই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে পুনরায় পরিবারের জন্য রোজগার করতে পারবে। তাই হোমে যাবার সময় মেয়েটা অপরাধ বধে দেওয়ালে লিখল “সরি, বাবা!”।”

“ভেরি স্ট্রেঞ্জ অ্যান্ড স্যাড” নিরাশ ভাবে সন্দীপ বলল।

চিত্রা বলল “বেশিরভাগ বাচ্চা শারীরিক নির্যাতন বুঝে উঠতে পারেনা। আজকাল মানুষ বাচ্চাদের, কায়দা করে এমন ভাবে বুঝিয়ে দেয় যাতে বাচ্চারা তার আর বিরোধিতা করে না । শোষণকারীরও কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।”

“আমাদের বাচ্চাদের যৌন অপরাধ কি, বুঝিয়ে দেওয়া উচিৎ।” সন্দীপের এই কথার সাথে চিত্রা সহমত হতে পারল না। সে বলল “এতে বাচ্চার শৈশব-কৈশোর হারিয়ে যেতে পারে।”

“কিন্তু না বললে তো এই শোষণই বিপদ ডেকে আনবে।”

“এর জন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোনভাবেই তারা এইরকম পরিস্থিতির সাথে কোনভাবেই জড়িয়ে না পড়ে।” এটা বলে চিত্রা ফোন রেখে দিল। ততক্ষণে তার ন বছরের মেয়ে মুন ঘরে ঢুকেছে।

“কার ফোন ছিল মা?”

“পার্টনার আঙ্কেলের”

“মা ! তুমি ওনাকে পার্টনার কেন বলো?”

“উনি আমার ক্লিনিক পার্টনার , তাই”

“বাবাও তো তোমার পার্টনার, তাই না!”

“উনি আমার লাইফ পার্টনার”

“মা! তাহলে তোমার সিক্রেট পার্টনার কে?”

“আমার কোন সিক্রেট পার্টনার নেই।”

“মিথ্যা কথা বলছ মা, সকলেরই একজন সিক্রেট পার্টনার থাকে।”

“আচ্ছা! তা সিক্রেট পার্টনার কেমন হয় শুনি?”

“যার সাথে নির্ভয়ে তুমি একলাই এদিক ওদিক যেতে পারো। তোমার শরীরে যেখান সেখান ছুঁলে তুমি আপত্তি করবেন না। কাঁদবে না, কাউকেও বলবে না।”

চিত্রার মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল যেন। সে জিজ্ঞাসা করল “তোমারও কোন সিক্রেট পার্টনার আছে নাকি?”

“সে তো সবার থাকে”

চিত্রা অধৈর্য হয়ে বলল “তোমার সিক্রেট পার্টনারের নাম কি?”

মুন মাকে বুঝিয়ে বলল “সিক্রেট পার্টনারের নাম নিলে মা কিংবা বাবার মধ্যে কেউ একজন মারা যায়।”

চিত্রা সন্দীপের ফোনের নম্বর মেলাতে লাগল।

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register