Sun 26 October 2025
Cluster Coding Blog

T3 || ঘুড়ি || সংখ্যায় সংযুক্তা দত্ত

maro news
T3 || ঘুড়ি || সংখ্যায় সংযুক্তা দত্ত ভোকাট্টা তোমার ভালবাসা, ভোকাট্টা জমানো অভিলাষা ভোকাট্টা সুখি সুখি বাঁচা, ভোকাট্টা বাঁচার কামনায়...   ১৬ বছর, হ্যাঁ, রামের বনবাস প্লাস ২, কাটিয়ে আবার বাড়ি ফেরা। এই ১৬ বছরে টুকটাক এলেও বিশ্বকর্মা পুজোতে একবারও আসা হয় নি কলকাতা ।এমনও নয় যে বিশ্বকর্মা পুজো ঘিরে প্রচন্ড উৎসাহ আমার, অথবা ঘুড়ি ওড়ানোর জন্যে প্রাণ আনচানও করে না, কিন্তু তাও বুকের ভিতর " ঢাং কুরা কুর বাদ্যি" বেজে উঠত প্রবাসে, যেই ক্যালেন্ডার এর পাতায় স্বর্গের ইঞ্জিনিয়ার এর ছবিখানা দেখতে পেতাম। আমার ছোটবেলায় বিশ্বকর্মা পুজো মানেই ছিল, দুর্গাপূজার কাউন্টডাউন শুরু। 'নীল আকাশে কে ভাসালো সাদা মেঘের ভেলা " আর সেই ফ্রেমে রাশি রাশি রং বেরঙের ঘুড়ি। আমি নিজে খুব একটা ঘুড়ি ওড়াতে এক্সপার্ট নই, তবে আমাদের ছাদে পাড়ার একদল কচি কাঁচা এসে বেশ হই হই একটা ব্যাপার হত। আসে পাশের বাড়ি থেকে 'ভো কাট্টা ' ভেসে আসত। ঝুঁকে ঝুঁকে দেখতাম ঘুড়িটা পড়ল কোথায়? কাটা ঘুড়িটা আকাশে সাঁতার কাটতে কাটতে ঝুপ করে যেই নিচে নামতো মনে হতো নিশ্চয়ই আমাদের বাড়ির ছাদে ল্যান্ড করবে , ওমা ঠিক দেখি বাড়ির পেছনের পার্কে পড়ল আর যদি একখানা পড়ল ছাদে তার মালিকানা নিয়ে ঝগড়া হাতাহাতি অবদি গড়াত। আমার দাবি বেশী, ছাদ আমার, যে ধরত সে বলে আমি ধরেছি তাই আমার। শেষ পর্যন্ত মা র হস্তক্ষেপে ইতি হতো ঘুড়ি সমাচার। রাসবিহারী থেকে চেতলা যেতে যে ব্রিজ পরে সেটা যেখানে শেষ হয়, সেখানে একটা বিরাট ফ্যাক্টরি ছিল। ওইখানে খুব ধুমধাম করে বিশ্বকর্মা পুজো হত। বিকেলবেলা সেজে গুজে কচি কাঁচার দল কাকিমার হাত ধরে সেইখানে যেতাম। বিভিন্ন সাইজের আমরা, একটু বড়রা ছোটদের হাত ধরতে, সব থেকে ছোটটা কাকিমার কোলে। ঠাকুর দেখে, বাইরে বেরিয়ে কারুর চাই ফুচকা, তো কারুর আইসক্রিম , কেউ বা চায় বেলুন, আবার কেউ বায়না ধরলো বুড়ির মাথার পাকা চুলের( কান্ডিফ্লসের দিশি ভার্সন) । সবার সব কিছু মিটিয়ে পুজোর গন্ধ মেখে গুটিগুটি পায়ে বাড়ি ফিরতাম। আজ বিশ্বকর্মা পূজোর দিনে শুধু মনে হচ্ছে এমন একখানা রঙিন ছোটবেলা ছিল বলেই সুখী সুখী বাঁচাটা ভোকাট্টা হয় নি।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register