Wed 22 October 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাসম্পাতে সিদ্ধার্থ সিংহ (পর্ব - ২৮)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাসম্পাতে সিদ্ধার্থ সিংহ (পর্ব - ২৮)

কেমিক্যাল বিভ্রাট

কিছু দিন আগে জবালা তাঁর এক পুরনো বান্ধবীর কাছে গিয়েছিলেন। সেই বান্ধবীটি কাজ করেন শিক্ষা দফতরে। একটু গুরুত্বপূর্ণ পদে। ওঁর কাছেই নাকি আটকে আছে তাঁদের স্কুলের একটি ফাইল। প্রধান শিক্ষক তাঁদের সম্পর্কটা জানেন। তাই জবালাকেই দায়িত্ব দিয়েছেন কাজটা দ্রুত করিয়ে আনার জন্য। উনি আরও বলেছেন, দরকার হলে একটু বসবেন। না-হয় কাল একটু দেরি করেই স্কুলে আসবেন।

সে জন্যই জবালা গিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন, দু’মিনিটেরও তো কাজ নয়। যাবেন আর আসবেন। কিন্তু গিয়ে দেখলেন, উনি ফোনে ব্যস্ত। ওঁকে দেখে যেন আরও ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তিনি। কথাবার্তা শুনে জবালা বুঝতে পারলেন, অফিসিয়াল তো নয়ই, এমনকী কোনও জরুরি কথাও নয়। পিসির খুড়তুতো বোনের মেয়ে কেমন আছে? তাঁর শালার ঠাকুমার শরীর কেমন? এ বার পুজোয় কোথায় বেড়াতে যাচ্ছিস? এই ধরনের সব খেজুরে কথাবার্তা।

শুধু সেই ফোনটাই নয়। ওই ফোনটা রাখতে না রাখতেই আবার ফোন। আর যে ফোনই আসছে, কোনওটাই আধ ঘণ্টার আগে শেষ হচ্ছে না। অথচ ওঁর হাতে সময় নেই। ‘না-হয় কাল একটু দেরি করেই স্কুলে আসবেন’ প্রধান শিক্ষক বলেছেন দেখেই কি দিন কাবার করে স্কুলে যাওয়া যায়! উনি তো ভাবতেই পারেন, কাজ মিটে যাওয়ার পরে আমি অন্য কোথাও গিয়েছিলাম। তাই বারবারই উসখুশ করছিলেন জবালা। আর যত বারই উসখুশ করছিলেন, তত বারই ওই বান্ধবী হাত দেখিয়ে ওঁকে ইশারা করছিলেন, আর একটু, আর একটু...

জবালা বুঝতে পারলেন, ও তাঁর কাছে ব্যস্ততার ভান করছে। অগত্যা আর উসখুশ নয়, উনি রেডি হয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন কখন ফোন শেষ হয়। যে-ই শেষ হল, অমনি আর কালবিলম্ব না করে সঙ্গে সঙ্গেই উনি রিং করলেন ওই বান্ধবীকে।

নম্বর দেখে ওই বান্ধবী একেবারে হতবাক। উনি বুঝতে পারলেন না, সামনে বসে তাঁর বন্ধু কেন তাঁকে ফোন করছে! তাই ওঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, কী হল? তুই ফোন করছিস?

ক্রমশ

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register