- 7
- 0
ইন্দ্র বলল, স্যার – সংসদ গঠনের জন্য তো আমাদের দরকার এবং বিচারবিভাগকেও চাই । নন্দ-স্যার বললেন, গিরগিটিরা আমলাদের কাজ সামলাতে পারে কারণ সময়ে ওরা রং বদলাতে পারবে । এটা একটা নিরপেক্ষতাও বটে । সকলেই বলল, হ্যাঁ হ্যাঁ । কিন্তু স্যার – আপনিই তো ওদের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক হতে পারেন । ইন্দ্র-দা জেলা নির্বাচন আধিকারিক আর আমরা সকলেই বিভিন্ন আধিকারিক । কান্তু বলল – মানুষের বুদ্ধি গিরগিটির নেই । ও তো বাঁচার জন্য রং বদলায় । নন্দ স্যার বললেন, মুশকিল হচ্ছে – তোদের ওরা বিশ্বেস করবে তো ! ইন্দ্র বলল, স্যার – আপনি বললেই ওরা মানবে । কিন্তু তোদের শপথ নিতে হবে – ওদের কোন ক্ষতি করবি না । রক্ষা করবি ওদের । সকলেই নন্দ-স্যারের কথায় না-মানুষদের রক্ষা করার শপথ নিল । নন্দ-স্যার বললেন, একবার বাড়ি যেতে হবে । হুলোর মৃত্যুর দুঃসংবাদটা টিকটিকিকে দিতে হবে । আমরা শেষ রাতে মুক্তমঞ্চে মিলিত হব । আপাতত পলাশিপাড়াকেই সংসদ ধরে নির্বাচন হোক । পরে দেখা যাবে । বাড়ি গিয়ে নন্দ স্যার দেখলেন টিকটিকি মৃদু আলোয় ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করছে । ওর কাছে বসে সার-সংক্ষেপ করছে পেঁচা এবং নোট নিচ্ছে চশমা-পাখি । নন্দ-স্যার ঢুকেই বললেন, খারাপ খবর রয়েছে । টিকটিকি বলল, কি খবর স্যার !
0 Comments.