Sun 26 October 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব - ৮৯)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে সোনালি (পর্ব - ৮৯)

রেকারিং ডেসিমাল

খুদে মানুষেরা হোল লাটসাহেব। চারটে মানুষ, তারমধ্যে দু জন সাবালক, বাবা আর মা। বাকি দুজন রয়ালটি, মহামহিম রাজকন্যা আর রাজপুত্তুর। তাই চারটেএ সুটকেস ঠাসা প্যাকিং করে এনেছেন মা। ভাই সবই খাবার চেষ্টা করেন। তবে মাঝে ফাঁকে সেরেল্যাক ও থাকে। বড়দের খাবার সবটা রপ্ত হবার এখনো সময় নয় বলেই, ডাক্তার মায়ের কাঁধে মস্ত ব্যাগে সেদ্ধ জল, আর ফেস টাওয়েল, আর মেডিকেটেড ওয়াইপ, আর এক্সট্রা দুজনেরি এক সেট করে ড্রেস, আর বিস্কুট আর ….. সত্যি ছোটদের নিজস্ব একটা সংসার থাকে। তাদের সুস্থ রেখেও বেড়ানোর মজা করার জন্য বাবা মাকে একটু ত খেয়াল রাখতেই হয়। সাত দিন বেড়ানো। তাও এতগুলি বিচের সমুদ্রে সাজানো গোয়া। একেক বার সমুদ্রের ধারে দৌড়ে, বালি দিয়ে ঘরবাড়ি বানিয়ে এলেই ত ব্যাস!! হয়ে গেল ভিজে বালি মাখা জামাকাপড়ের এইসি কি তেইসি। মা হেসে কুটিপাটি হন দুই ওস্তাদের সমুদ্রের সাথে লাফালাফি দেখে। আর হোটেলের রুমে ঢুকেই গিজার অন, ছোট করে গা ধুয়ে ফ্রেস জামাকাপড়ে পরিপাটি বাবুরা। রিসর্টের ভিতরে নিজস্ব বিচে আর মাঝখানের জাকুজি সহ সুইমিং পুলে ঝুপুস ঝাপুস চলে ঘুম থেকে উঠেই। তারপর চেঞ্জ করে দুই ওস্তাদ সেই গাছ আর ফুলে ছাওয়া লম্বা প্যাসেজ দিয়ে তুরতুরিয়ে দৌড় দ্যান ডাইনিং হলের দিকে। এরাও ভয় পায় না, বাবা মাও নিশ্চিন্তে ছেড়ে দ্যান। এ রাস্তা তো অন্য কোন দিকে যাবে না। সোজা ডাইনিং হলেই গিয়ে শেষ হবে। বাবাও একটু পরে এগোন পিছনে। মা ছেড়ে রাখা জামাপ্যান্ট পরিস্কার করে, আবার সারা দিনের মত ঝোলা ব্যাগটা রেডি করে তবে ধীরে সুস্থে যান খাবার টেবিলে। রিসর্টে সব মিল বুফে। যে যত খুশী খেতে পারেন, কিন্তু ঘরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। ছানারা টেবিলে বসেই ওয়েটারকাকুদের থেকে প্লেট নিয়ে ন্যাপকিন পেতে ফল নিয়ে বসে পড়ে। অজস্র ফল বাস্কেট ভরে সাজানো। তরমুজ, পেঁপে, নাশপাতি, আঙুর, পিচ, কিউই, আপেল, আনারস, কলা.. কি যে সুন্দর লাগে দেখতে। বাচ্চারা টপাটপ খেতে থাকে। ওয়েটাররা খুব খুশী হন ওদের দেখলেই। কি খাতির করে সার্ভ করেন। পরে মা বাবা এসে গেলে, টোস্ট ডিম সেদ্ধ মাখন বা চিজের কিউব ও খাওয়া হয়। আর ফ্রুট জুসের বাক্স থাকে। দুই খুদি ডাংগেরি, হাফপ্যান্টের পকেটে ভরে জুসের বাক্স। বাবা বারণ করছিলেন প্রথম দিন। খাবার বাইরে নেওয়া মানা। সিনিয়র ওয়েটার এসে বললেন, স্যার, কিছু বলবেন না। ওদের পকেট রুলের বাইরে। দু তিন দিনের মধ্যেই সমুদ্র, পরিস্কার হাওয়া, আর ফলের গুণে লাল টুকটুকে হয়ে গেল দুই পুচকের গাল। বাবা মা ভাবেন, আশা সার্থক। সকালে ব্রেকফাস্ট করেই গাড়িতে উঠে ভোঁ। চলল গাড়িতে গোয়া পরিভ্রমণ। কি মজা কি মজা।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register