- 42
- 0
পূজো একাল ও সেকাল
পূজো মানেই শরতের নীল আকাশ।
পূজো মানেই সাদা কাশ ফুল।
পূজো মানেই স্কুল ছুটি আর পূজো মানেই সবার নতুন জামা-জুতো
পূজো মানেই ঢাকের আওয়াজ।
পুজো মানেই হৈ হৈ করা।
আর পূজো মানেই বুক ভরা আনন্দ।
পূজো মানেই ধূপধুনোর গন্ধ।
পূজো মানেই সন্ধ্যেবেলা পাড়ার পেন্ডেলে আড্ডা মারা আর ফাংশন দেখা।
পূজো মানেই অষ্টমী সকালে ভক্তিতে গদগদ হয়ে অঞ্জলি দেওয়া।
আর প্রতিদিনই সন্ধ্যা হলে,
মন ভরে আরতি দেখা।দশমীর দিনে মায়ের সাথে,
মন ভরে সিদুর খেলা, আবার
নিজেদের বই-খাতা সব নিয়ে,
ঠাকুরের পায়ে ছুয়ে আনা।
আবার সন্ধ্যে বেলা শান্তির জলে মাথা ভিজিয়ে, রাখি পরে, গুরুজনদের প্রনাম করা।
আজও মনে পরে দশমীর পরে, ভাইবোন সবাই মিলে বসে এক সাথে
ভুল বানানের চিঠি লেখা।
কিন্তু কোথায় গেল আজ সেই দিন।
শরতের নীল আকাশ আর
সাদা কাশ বন।
ঢেকে গেছে গগনচুম্বী ফ্ল্যাটের আড়ালে সারা বছর চলছে বাজার।
পূজোতে কি আলাদা আবার।
ঢাকের আওয়াজ আর চন্ডিপাঠ
হারিয়ে গেছে মাইক আর ডিজের সাথে।
ধূনোর গন্ধ আর ভোগের গন্ধ, সবই হারিয়েছে বিরিয়ানির স্বাদে।
ফাংশন আজ আর কেউ করে না।
সেলফি তোলে দুগগার সাথে।
অঞ্জলি চলে অনলাইনে।
আরতি তে মন লাগে না।
পূজোর মাঠে চলতে থাকে,
ফ্যাশন প্যারেডের কম্পিটিশন।
সিদুর খেলা আর বিসর্জনে,
মাতাল হয়ে সব গড়িয়ে পরে।
প্রনাম করা হয় সব হোয়াটসঅ্যাপে।
চিঠি যে আজ আর লেখে না কেউ। ই-মেইল পাঠায় সবার কাছে।
উল্টে এ যুগ হাসতে থাকে, বিরক্ত করো না তো বাপু দুগগা বলে।
0 Comments.