Wed 29 October 2025
Cluster Coding Blog

গদ্য কবিতায় নিমাই জানা

maro news
গদ্য কবিতায় নিমাই জানা

অদৃশ্য সেতুর নৃতত্ত্ব পুরুষ ও বিবিধ নাবিক সমগ্র

এক

হাইড্রোসোফেরাস মাথায় জমে থাকা রক্ত রস আর পুঁজ, দীর্ঘ কুমেরুর বরফ প্রদেশে লুকিয়ে থাকা কোকিলেরা মৃত মৃত হাড় মাংসের কার্বনেটেড ডিম ভর্তি অসুখগুলোকে সবুজ বমির মতো উগ্রে দেওয়ার পর আমাদের আর পরলোক তত্ত্ব বলে কিছু নেই ,

চিরহরিৎ আগুন দিয়ে ভার্গব ঋষি পাইনের একাকীত্ব যজ্ঞের সাধনভূমি ছিঁড়ে দিচ্ছেন সমুদ্র উপকূলের মতো চারটি যৌনাঙ্গ মিশ্রিত এক ঈশ্বর ভূমির কাছে, বৃষ্টি আসুক ধুয়ে দিক সব পাথর খাঁজ বিভাজিকা উপত্যকা ঘাস ভূমি, চারণভূমির বিভাজ্যতা এ বিষন্নতার ওপর শুকনো পাতার রঙের বারুদ জ্বেলে দাও সব মানুষের প্রদাহ পুড়ে যাক, কাপুরুষতা পুড়ে যাক, উলঙ্গ ক্রোধ পুড়ে যাক

ঘাসের নর্তকীরা বেজে উঠুক প্রবল ছন্দময় সাপের নৃত্যের মত মৃত দেহ থেকে খসে খসে পড়ুক এক একটা ফুলের অঙ্গজ জনন সমগ্র আমাদের কোনো ক্রোধ নেই আমাদের কোন মৃত্যু নেই সবাই চির সঞ্জীবনী সুধা নিয়ে মৃতজীবী অঙ্কুর কণা লাগিয়ে যাচ্ছি এই পৃথিবীর উর্বর বিভাজিকার ভেতর, জেগে উঠুক ঘাসের ডিম্বাকৃতি খোলসের ভেতর পবিত্র সত্য স্নায়ুতন্ত্রের নটরাজ ঐ গোপন গুহার ভেতর থেকে আরো অজস্র রক্তদানা বেরিয়ে আসছে, বুলেট নয় বুলেটের মতো খনিজ আগুন ছিটকে আসছে একটা দেশ ভাগ হয়ে গেলে,

দুই

দেশভাগের যন্ত্রণা আর কিছু নয় এক নৃশংস কসাইয়ের মতো খন্ড খন্ড মাংসের লাল রক্তের জমাট থ্রম্বাস ভেদ করে ছিটকে বেরিয়ে আসা পাকস্থলীর টুকরো মাত্র প্রতিটি মানুষের মৃত আত্মারা পুড়ে যায় অদৃশ্য চির হরিণীদের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কাঠের পাটাতনের মতো, আদিম ধ্বংসস্তূপের পুরোহিতেরা সবিকল্প সমাধিতে রত হয়ে আছেন একাগ্র নিঃশব্দ স্তুতি সংকল্পের মায়া ঘোরে, আমরা সবাই সন্ন্যাস পড়েছি আমি শুধু রেচক অভিমুখে রাতের হরিণীদের সাথে মৃত্যুর পর্বতের চূড়া পেরিয়ে যাচ্ছি, দেশ ভাগ হলে পরমাত্মা বদলায় না, পরম অস্তিত্ব বদলায় না, সুক্ষ তন্ত্র বদলায় না, স্থূল শরীরে শুধু মৃত্যুর জন্য রক্তময় ঘোড়া ছুটছে জড় দেয়ালের দিকে

দীর্ঘ চোখের পাঁজরের মতো লঘু ঘনত্বের হিম মিশ্রিত রাতের নিরাবরণ আলো প্রত্নতাত্ত্বিক ৩.৫৬ ঘনত্বের কঠিন রজনীগন্ধার বিষাক্ত কপর্দক শূন্যতা নিয়ে মুদ্রাযোগের ভয়াবহ অন্তরীক্ষ রচনা করছেন ইথার তরঙ্গের উল্টোদিকে থাকা অদৃশ্য মানুষের দল, পৃথিবী এক শূন্যস্থান বিষয়ক শব্দগুলোকে নীল রঙের ইছামতি প্রদাহ কৃষ্ণগহ্বর মুক্তপ্রদেশের কালযোণী নক্ষত্র পেরিয়ে যাচ্ছে জলঙ্গি উপকূলের দিকে, সূর্যের কোনো ভয়ংকর মুদ্রাদোষ নেই

তিন

আমাদের ঠোঁটে চোখে দাঁতের নখে অজস্র স্বরবর্ণ ঝুলে আছে উঁচু অন্ধকার গুলো অবৈধ পরিযায়ীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসা সরীসৃপের নিম্নস্তরের মতো একাকী কাঁটাতারের বিমুখ হৃদয়ে উড়ে যায় শরীর থেকে, কঙ্কাল থেকে, প্রদাহ থেকে, দীর্ঘ প্রাচীরের ভেতরে লুকানো ছত্রাকের মূলরোম থেকে অসংখ্য নীরব পদ্মের সংকল্প ফুলগুলো গজিয়ে উঠলে তৎক্ষণাৎ কোন এক সিসিফাস সিফিলিস গনোরিয়া আক্রান্ত অদ্বৈত মানুষ অশোক গাছের জন্ম দেয়, ছিন্ন হয়ে যায় কসমেটিকস মার্কা লিপগ্লস, কপট সমুদ্রের মতো আঁশযুক্ত জাগতিক সম্পর্ক, ক্ষুদ্রান্তের ক্রনিক অসুখের নিরাময়হীন পোকা গুলো রক্ত বমি করে দিচ্ছে এক একটা অদ্ভুত রক্তচোষা প্রাণী আমার বুকের উপর দিয়ে আমি রোজ হেঁটে হেঁটে বৈকুন্ঠ নগর থেকে ঘুরে আসি

যারা মৃত্যুর মতো, যারা ঘাতকের মতো, যারা আততায়ীর মতো, যারা নিহতের মতো, যারা রক্তাল্পতা পুরুষের মতো নীল কক্ষের ভেতরে বসে ধনাত্মক রতিচক্রের লাইসোজোম মাখা অঙ্গগুলি লেহন করে অলিন্দের ছোট কুঠুরি গুলোকে খন্ড করে কেটে কেটে উড়িয়ে দিচ্ছে সাদা শিমুল তুলোর মতো জলন্ত হীন বাস্তুতন্ত্রহীন আগুনের সারাৎসার মেখে তাদের আর পরজন্মের জন্ম আয়ু নেই এ নরককুন্ড থেকে ফিরে আসার পর আদিম ঈশ্বর এক নৌকার উপরে বিভূতি তরঙ্গের মন্বন্তর ভেদ করে অসংখ্য জলজ নমুনা সংগ্রহ করছেন, ঈশ্বর ক্রমশ ছিন্ন করে দিচ্ছেন দেশ কাল মহাকালের অবৈধ খন্ডযোগ

পরম চিহ্নের স্নায়বিক মহাপুরুষ হোম কুন্ডলী জ্বেলে আমাদের সায়ন্তন করে তুলছেন সমুদ্রের ভেতর সুদৃশ্য পরমাত্মা উদার বুকে বসে আছেন অদৃশ্য সেতুর দর্শনার্থী সেজে

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register