- 5
- 0
২ দিন আগেই আমরা আমাদের দেশের স্বাধীনতা দিবস পালন করলাম। 'হর ঘর তিরঙা'র ডাকে অনেকেই পতাকার সাথে সেলফি তুলে ভারত সরকারের ওয়েবসাইটে আপলোড করে ডিজিটেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ ফেসবুকে পোস্টও করেছে। আবার এই সার্টিফিকেট নিয়ে অনেকেই ইতিবাচক ও নেতিবাচক মন্তব্যও করেছে। নেতিবাচক মন্তব্যগুলো বাদ দিয়ে যদি ভাবি তাহলে এটা আমরা দেখতে পাই যে অধিকাংশ ভারতবাসীর নিজের দেশের পতাকার প্রতি একদিনের জন্য হলেও সচেতনতা, শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা বাড়ে। সেটা মন থেকেই কিংবা জোর করেই হোক। বর্তমান ভারত সরকারকে এই হর ঘর তিরঙা উদ্যোগের কুর্নিশ জানাই।
প্রতি বছর ঘটা করে স্বাধীনতা দিবস পালন করলেও একদল মানুষের মন কিন্তু পরাধীনই থেকে যায়। এখানে একদল মানুষের কথা করলাম যারা কোনো না কোনো দিক থেকে দুর্বল থাকে এবং লড়াই করতে করতে হারিয়ে যায়। ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের কয়েক দিন আগেই আমরা স্বপ্নদীপ কুন্ডুকে চিরতরে হারালাম। ওঁর কি বাঁচার স্বাধীনতা ছিল না, স্বপ্ন দেখার স্বাধীনতা ছিল না, লেখাপড়ার স্বাধীনতা ছিল না? তাহলে কেন তাঁকে এইভাবে অকালে চলে যেতে হল!
আমাদের সকলেরই স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। অন্যকে ছোট করে নিজেকে বড় করার মধ্যে মহৎ কিছু নেই। অন্য ছোট করতে গিয়ে যে নিজেই অন্যের চোখে ছোট যাচ্ছি সেটা আরও খারাপ। আসুন, আমরা সকলে একজোট হয়ে ভালো কাজ করি, আগামী প্রজন্মদের কিছু ভালো শিক্ষা প্রদান করি।
0 Comments.