Wed 22 October 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে অনিরুদ্ধ গোস্বামী (পর্ব - ২)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে অনিরুদ্ধ গোস্বামী (পর্ব - ২)

অদৃশ্য প্রজাপতি

মা :এই নে তোর বাবা কি বলবে? বাবা : দেখ আমি তো তোর সাথে বন্ধুর মতো মিশেছি , একটা কথা বলি এবার বিয়ে টা করে নে ,কয়েকটা সম্বন্ধে এসেছে ।বলিস তো মেইল করে দিচ্ছি প্রোফাইল গুলো। নীল : বাবা জানো তো এখন এই নতুন প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট নিয়ে একটু ব্যাস্ত রয়েছি। আমাদের এই কোম্পানি , মিড্ সাইজ ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানি ।কাজের একটু চাপ ও আছে। বাবা :কি আসছে মার্কেট এ ? নীল :একটা নিউরোট্রপিক ইনজেকশন , যেটা মাস পপুলেশন এর কাজে আসবে। অনেকগুলো ইন্ডিকেশন এ কাজ করবে। তার সাথে এটা কোম্পানির লাভ বাড়াতে সাহায্য করবে । বাবা : ঠিক আছে এরপর কিন্তু গাঁটছড়া নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবতে হবে। নীল আচ্ছা সে দেখা যাবে। বাড়ির সাথে আরো কিছুক্ষন কথা বলে রাখার সাথে সাথে বিন্সি র মেসেজ ঢুকলো। বিন্সি :বস এ .সি নিলসন ডাটা মেইলড টু ইউ ( তার সাথে একটি লাভ ইমোজি ) । ভাবলম্ স্যাটারডে নাইট ইফেক্ট হবে হয়তো | নীল :থাঙ্কস বিন্সি ,গুড নাইট | বিন্সি ভার্গিস আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোডাক্ট ম্যানেজার আমরা এই প্রজেক্টে পাঁচ মাস কাজ করছি ।আমাকে রিপোর্ট করে বিন্সি ।কিন্তু কাজের বাইরে একটু অন্যরকম বেপরোয়া ও খোলামেলা- বিন্স ।

প্রতিটি স্বপ্নের একটা প্রবেশপথ থাকে |ইটস জাস্ট লাইক এ বাবলস |বুদ্বুদ সৃষ্টি আর তার মধ্যে প্রবেশ .পার্থিব জগৎ আর স্বপ্নের জগৎ একটা সমান্তরাল দুনিয়া চলে |বুদ্বুদে ঢুকে পড়া আমি কে দেখতে থাকে আর এর আমি ,দ্রষ্টা আমি | সে রাতে ও স্বপ্ন এলো |একটা বুদ্বুদ এ ঢুকে ভাসছি | অন্য একটি বুদ্বুদে আথিরা কে দেখছি |বুদ্বুদ দুটো কাছাকাছি এলো | আথিরা হাত রাখলো বুদ্বুদ এর দেওয়ালে আমিও ছুতে চেয়েও পারলাম না |আমার ঘেরাটোপ ছুঁয়ে ভাসতে ভাসতে বুদ্বুদ চলে যাচ্ছে |আমার কোনো আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে না সেও আস্তে চাইছে কিন্তু বুদ্বুদ উড়ে উড়ে দূরে চলে যাচ্ছে আর এক সময় তা ভ্যানিশ হয়ে গেল|

*আথিরা * রবিবার ঘুম থেকে উঠে মনে হচ্ছে একটা কিছু নেই .মন ভালো নেই .ডাইনিং প্লেস এ   জানলার পর্দার সরাতে উজ্বল সকালের আলো লাফিয়ে পড়লো . ব্যালকনি  তে এসে দাঁড়ালাম. সামনে যত দূর দেখা যায় পুরোটাই ব্যাক ওয়াটার ল্যান্ডস্ক্যাপ । "ফোন নাম্বার ইস নোট রিচেবল " আথিরা নট রিচেবল। মনে পরে গেল কিভাবে প্রথম দেখা হয়েছিল .সেটা ছিল এইরকম ই এক রবিবার.গেছিলাম "এর্নাকুলাথাপ্পান টেম্পলে " । মন্দির টি  ১৮৪০ এ তৈরী একটি প্রাচীন শিবের মন্দির .অনেকটা জায়গা জুড়ে শহরের মধ্যেই অবস্থিত .রোববার এর জন্য ভিড় বেশি .ছেলেদের আর মেয়েদের লাইন পাশাপাশি কিন্তু ঢিমে তালে এগোচ্ছে.প্রবেশদ্বার এর কাছে পৌঁছেছি আর পুরোহিত আটকালো.মালায়ালম এ কিছু বলতে লাগলো আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না !পাস থেকে মহিলাদের সারি থেকে কেউ একজন বলে উঠলো "দে আর সয়িং তো পুট  অফ ইওর শার্টস এন্ড এন্টার"। ইটস টি রিচুয়াল হিয়ার। তড়িঘড়ি জামা  খুলেই ঢুকলাম. লাইন এগোতে থাকলো ।সেও পাশে পশে চলছে ।জিজ্ঞাসা করলো " ডোন্ট য়ু নো মালায়ালম"? কথায়  কথায় জানতে পারলাম তার নাম আথিরা বালাকৃষ্ণান । সাজের আতিশয্য নেই ,কেরালিয়ান ঘিয়ে সাদা সারি তাতে সোনালী পাড়আর তার সাথে একই কালার এর  ব্লাউস  .ব্লাউসে এর হাতায় একই সোনালী কাজ .কপালে ছোট্ট  কালো টিপ্ তার উপর চন্দন এর সাদা ফোটা একটু সমান্তরাল এ টানা.আয়তকার চোখে টানা কাজল.খোলা কোঁকড়ানো কেশ রাশি ঢেউ খেলে নাকে গেছে. দু গাছি করে  ছোট্ট বিনুনি বাকি কেশ রাশি কে বেঁধে রেখেছে .হাতে দুটি সোনার চুড়ি আর ছোট চেন গলায় .

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register