Wed 22 October 2025
Cluster Coding Blog

গল্পবাজে অরবিন্দ মাজী

maro news
গল্পবাজে অরবিন্দ মাজী

ভুল বোঝাবুঝি

পারমিতারা দুই বোন ও এক ভাই, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য ওরা, বাবা ক্যনসারে মারা গেছে, বাবার জমানো সব টাকাই প্রায় শেষের মুখে।

দুই বোনের মধ্যে পারমিতাই বড়ো, কাজে কজেই ওর উপর সংসারের দায়িত্ব দায়িত্ব অনেকটাই বেশি, এখন সে ক্লাস টুয়েলভে পড়ছে, সাথে সাথে অবসর সময়ে বাড়িতে একটা চায়ের দোকানোও চালায়, দোকনেই আলাপ পালপাড়ার অরূপের সাথে, আলাপ থেকে প্রেম হয় দুজনের মধ্যে। গভীর প্রেম। একে অপরকে না দেখে থাকতে পারে না। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে ওর বিধবা মা বসে, এবং দোকানটা চালায়।

ঐসময়ে পারমিতা সাইকেল নিয়ে ট্যায়ুসেনিতে যায় কুমোর পাড়ায়। প্রতিদিন অরূপ ওর জন্য অপেক্ষা করে মোড়ের মাথায়, দুজনে কথা বলতে বলতে বাড়ি ফেরে। অরূপ একটা ধনী পরিবারের ছেলে, কাজেই টাকা পয়সার অসুবিধা হলে পারমিতাকে সে যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করে। সুন্দরী পারমিতাকে অনেকেই বিয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু পারমিতা ওসবে কান দেয়নি। ও ঠিক করেছিলো অরূপকেই বিয়ে করবে। অরূপ পারমিতাকে যারপর নাই বিশ্বাস করতো, পারমিতা একদিন হঠাৎ করে দেখলো অরূপ একটা মেয়ের হাত ধরে রাস্তায় হাঁটছে। পারমিতার মাথায় সন্দেহ ঢুকে গেলো। তারপর থেকে পারমিতা কিছুতেই অরূপকে মেনে নিতে পারতো না, অরূপের সাথে কথা বলাটাও পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিলো পারমিতা। অরূপ মোড়ের মাথায় যথারীতি একদিন পারমিতাকে জিজ্ঞেস করলো কথা বলছো না কেনো? প্রথম দিকে পারমিতা কিছুতেই কথা বলছিলো না, পরে বলেই ফেললো- কোন চরিত্রহীন ছেলের সাথে কথা বলতে তার রুচিতে বাধে, তুমি এখন থেকে আমার সাথে আর কথা বলতে আসবে না। অরূপ বললো- কি যাতা বলছো তুমি, আমি আবার চরিত্রহীন হলাম কবে থেকে? পারমিতা বললো - চলে যাও এখান থেকে, আর কোনদিন আমার সাথে দেখা করতে আসবে না, আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে পাশের মল্লিক বাজারের অনিমেষের সাথে, এখন তুমি আসতে পরো, আমার সময় নেই, দোকানে মা আমার জন্য অপেক্ষা করছে। পারমিতা জানবার চেষ্টাই করলো না - সেই মেয়েটা কে ছিল, যার হাত ধরে অরূপ রাস্তায় হাঁটছিলো। আসলে মেয়েটা ছিল অরূপের নিজের কাকার মেয়ে!!

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register